ঝরিছে সলিল অক্ষি যুগলে
চিত্তে অনল ধারা
ভগ্ন হৃদয়ে করিছে বিলাপ
প্রাণের খোকাকে ছাড়া।
গুটি গুটি পায়ে হেঁটে যেত খোকা
মায়ের আঁচল ধরে
মধুর হাসির দীপ্ত ঝলকে
প্রাণ যেত তার ভরে।
গগন বিদারী মাতৃ কাকুতি
খোকার সমাধি পাশে
স্মৃতির পাতায় শূন্য খাতায়
খোকার মুখটি ভাসে।
দয়ার সাগর হে অধীশ্বর
খোকাকে যখন দিলে
আমাকে রাখিয়া নাড়ি ছেঁড়া ধন
কেনইবা তুমি নিলে?
হে বিশ্বপিতা মহান মাবুদ
মুখটি তুলিয়া চাও
খোকার মতই এ অধমকে
পরপারে নিয়ে যাও।
কেটেছে আমার ললিত যামিনী
খোকাকে জাপটে ধরে
কবরে শয়ান খোকা তুই আজ
ঘুমাবো কেমন করে?
খোকার থালাটি লইয়া হস্তে
ডুকরে ডুকরে কাঁদে
দুধ মাখা ভাত খাইতো যে খোকা
মহা তৃপ্তির স্বাদে।
এমন যাতনা আর নাহি যেনো
কাহারো ক্ষেত্রে ঘটে
কষ্ট লইয়া বাঁচিবার চেয়ে
মরণ উত্তম বটে।