হাসান মাহমুদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি
পাহাড়ের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় সর্বক্ষনিক নিয়োজিত থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনী। মাদক সেবন ও মাদক পাচার, অস্ত্র-চাঁদাবাজিসহ সকল রকমের বেআইনি কর্মকান্ড থেকে যুবসমাজকে বিরত রেখে অসম্প্রদায়িক আলীকদম গড়ার জন্য সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতিক সময়ে নির্মানাধিন আলীকদম-পোয়ামুহুরী সড়কে অভিযান দুই দফা ইয়াবা উদ্ধার এবং সর্বশেষ গত ২২ মার্চ আলীকদম-ফাসিয়াখালী সড়কের ইয়াংছা ক্যাম্পে তল্লাসি চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার করেছে আলীকদম সেনা জোন। সেই সাথে চালানকারীদেরকেও গ্রেফাতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আলীকদম ও লামাকে মাদক মুক্ত রাখার জন্য সেনাবাহিনী সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যাতে যেকোন বিনিময়ে আলীকদম এবং লামাকে মাদকমুক্ত রাখা যায়। মঙ্গলবার আলীকদম সেনা জোনের বেসামরিক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মনজুরুল হাসান। সভায় আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আলীকদম উপজেলার বুলাই পাড়া আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন ঝিরিতে মাছ ধরতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমনের স্বীকার ক্রইল ¤্রাে এর সাথে কথা বলে এবং তাকে খাদ্য দ্রব্য ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। ক্রইল ¤্রাে গত ১৩ মার্চ ভাল্লুকের আক্রমের স্বীকার হলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেনা হেলিকপ্টার যোগে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে ক্রইল ¤্রাে মেডিকেলের ছাড়পত্র নিয়ে আলীকদমে পৌঁচেছে। এছাড়াও এসময় সুমি আক্তার নামে এক দরিদ্র মহিলাকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। মতবিনিময় কালে স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন, আলীকদমকে মাদকমুক্ত করতে হলে আরো গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। প্রয়োজনের সীমান্ত সংলগ্ন বিভিন্ন উপজাতী পাড়া (যেখানে সীমান্তবর্তী লোকজন ও মাদক পাচারকারীদের আনাগোনা রয়েছে) লোকজনদেরকে আলোচনার মাধ্যমে মটিভেশন করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন মুরুং পাড়ায় এবং পাড়ার পাশ^বর্তী দোকান পাঠে মায়ানমার থেকে চোরাই পথে আমার খাদ্য দ্যব্যসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দেখা মিলছে। একই পথে মাদক পাচারও বেড়ে চলেছে প্রতি দিন।