কমবেশি রাগ তো আমরা সবাই করি। কিন্তু এর মাত্রা যখন বেশি হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটা সমস্যার পর্যায়ে পড়ে যায়। আর এই রাগ যদি প্রিয় মানুষটি প্রায়ই করতে থাকেন, তখন যেন সম্পর্কটাই তিক্ত হয়ে ওঠে।
পছন্দের মানুষের জন্য আমরা কতো কিছুই না করি, শত ঝামেলা সত্ত্বেও একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। কিন্তু কখনো যেন এই চেনা মুখটিই অচেনা হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সামান্যতেই রেগে গেলে বোঝাপড়ায় একটা দূরত্বের সৃষ্টি হয়। এজন্য আপনার সঙ্গী যদি অতিরিক্ত রাগী হয়ে থাকেন; তাহলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
জেনে নিন সেগুলো-
রাগ মানুষের মধ্যে থাকবেই। কারো কম আর কারো বেশি এ পার্থক্য। রাগ দমন করা গেলেও কখনো সরানো যায় না। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখুন। অত্যাধিক রাগের বশবর্তী হয়ে মানুষ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন।
সঙ্গী যখন প্রচণ্ড রেগে থাকবেন; তখন তার সঙ্গে ভালো-মন্দ কোনো বিষয়েই আলোচনা করবেন না। নিজের মতো করে থাকতে দিন তাকে। সে কিছু চাইলে তা এগিয়ে দিন। যারা হঠাৎ রেগে যান; তাদের মন অনেকটাই সরল হয়। সাময়িকভাবে রেগে গেলেও পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
যখন ভালো মুডে থাকবেন আপনার সঙ্গী; তখন তার সমস্যা জানার চেষ্টা করুন। যেকোনো কারণে হয়তো তিনি রেগে থাকেন! সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো আপনি সমাধান করতে পারবেন না। তবুও তার কথা গুরুত্ব সহকারে শুনুন।
সঙ্গী রেগে উত্তেজিত হয়ে আপনাকে যা ইচ্ছে তাই বললেও তখনকার মতো চুপ থাকুন। যদিও বিষয়টি মানা মুশকিল। তবুও তাকে পাল্টা আঘাত করবেন না। নরমভাবে কথা বলে তাকে থামানোর চেষ্টা করুন। তারপরও যদি সঙ্গী অহেতুক আপনাকে কথা শোনাতে থাকে; তখন চড়াও হয়ে প্রতিবাদ করুন।
অনেক সময় গোপন কথা শেয়ার করতে না পেরেও রাগ বাড়তে থাকে। আগে সঙ্গীর ভালো বন্ধু হতে হবে। তাহলে সে তার মনের গোপন কথা শেয়ার করবে। তখন অশান্তিও কম হবে।
জোর করে সঙ্গীর স্বভাব পরিবর্তনের জন্য জোর করবেন না। অতিরিক্ত রাগী মানুষের সঙ্গে জোর খাটিয়ে নয় বরং নরম সুরে কথা বলে বোঝানো উচিত। তাকে তার মতোই থাকতে দিন। তবে তার ভুলগুলো মাঝে মাঝে ধরিয়ে দিন।
সংসারে কলহ হতেই পারে, তাই বলে নিজেদের কথা সবার কাছে বলে বেড়ানো উচিত নয়। এসব শুনে অন্যরা আপনাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে।
যদি কোনোভাবেই আপনি সঙ্গীকে থামাতে না পারে বা দিনকে দিন তার রাগের পরিমাণ বাড়তে থাকে; তখন মনোবিদের সাহায্য নিন।