উৎপাদন খরচ কম এবং গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে চাটমোহরে বাড়ছে ভূট্টা চাষের পরিধি। গত কয়েক বছর আগেও চাটমোহরে খুব অল্প পরিমান জমিতে ভূট্টার আবাদ হতো। বর্তমান সময়ে গরুর খামার বাড়ায় খামারীরা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য বেশি করে ভূট্টা আবাদ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি ২০২০-২০২১ মৌসুমে চাটমোহরে ৫শ ১০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১শ ৯০ হেক্টর জমিতে এনকে-৪০, ১শ ১০ হেক্টর জমিতে সুপার সাইন, ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে কহিনুর ও ৬০ হেক্টর জমিতে কাবেরী জাতের ভূট্টা চাষ হয়েছে। রবি ২০১৯-২০২০ মৌসুমে ৫শ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ বেশি হয়েছে।
চাটমোহরের হান্ডিয়াল ইউনিয়নের পাটিয়াতা গ্রামের ভুট্টা চাষী আব্দুর রশিদ জানান, প্রতিবছর ভূট্ট্রা চাষ করেন তিনি। বিল থেকে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর জমি চাষের উপযোগি হলে ভূট্ট্রা বীজ বপন করেন। চলতি মৌসুমেও সোয়া বিঘা জমিতে ভূট্ট্রা চাষ করেছেন তিনি। এক বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সার, তিন দফা সেচ ও আগাছা উৎপাটন বাবদ প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘা প্রতি ফলন হয় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মন। গত বছর মাঠ থেকে ভূট্ট্রা সংগ্রহ কালীন সময়ে প্রতিমন ভূট্ট্রা ৫শ থেকে ৬শ টাকা মন দরে বিক্রি হয়েছে। তবে পরে দাম বেড়েছে ভূট্টার। সে হিসেবে স্বাভাবিক ফলন হলেও বিঘা প্রতি প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা লাভ থাকে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভূট্ট্রার বীজ বপন করা হয়। মার্চের শেষ থেকে পুরো এপ্রিল পর্যন্ত ভূট্ট্রা সংগৃহীত হয়। চলতি মৌসুমে চাটমোহরের ১৫০ জন কৃষককে ভূট্ট্রায় প্রণোদনা হিসেবে ৩০ কেজি করে সার ও ২ কেজি করে বীজ প্রদান করা হয়েছিল। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত ভূট্ট্রা চাষের অনুকূলে রয়েছে। আশা করছি চলতি মৌসুমে যারা ভূট্ট্রা চাষ করেছেন তারা লাভবান হবেন।