সিলেটের বিশ্বনাথে ছুরিকাঘাতে ইমরান আহমদ সায়মন (২৪) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার জানাইয়া দক্ষিণ মসুলা গ্রামের মছলন্দর আলীর পুত্র। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বনাথ পৌর শহরের উপজেলা রোডে (খুদেজা মঞ্জিলের পার্শ্ববর্তী রাস্তা) এই ঘটনাটি ঘটে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে সায়মনের বুকের বাম পাশে আঘাত করা হলে অধিক রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সায়মন। এসময় সজ্ঞাহীন হয়ে যান সায়মনের সাথে থাকা তার চাচাতো ভাই লায়েক ও ফয়েজ। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সায়মনের প্রতিবেশী আব্দুল কাদির ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা সায়মনের নিতর দেহ উদ্ধার করে পৌর শহরের সন্ধানী ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসেন। নিহত সায়মন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। জানাইয়া ফুটবল মাঠের পাশেই তার একটি মুদিদোকান রয়েছে।
জানাইয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার নূরুল হক জানান, চাচাকো ভাই লায়েক ও ফয়েজকে সাথে নিয়ে বিশ্বনাথ বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন সায়মন। তারা উপজেলা রোডের খুদেজা মঞ্জিল পেরিয়ে নির্জন জায়গায় পৌছাত্র ২/৩ জন ছিনতাকারী হামলা চালায় সায়মনের উপর। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সায়মনের সায়মনের বুকে আঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে যারা এই হামলা করেছে তাদেরকে ছিনতে পেছেন সায়মনের সঙ্গে থাকা লায়েক ও ফয়েজ। হামলাকারীরা জানাইয়া গ্রামেরই বাসিন্দা বলে তিনি জানান।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ছিনতাকারীদের হামলায় অধিক রক্তক্ষরণ হয়ে সায়মনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতের চিহিৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।