জুড়ীতে মুক্তিযোদ্বার সন্তান পরিচয় দিয়ে ভাতা করার অভিযোগ উঠেছে জুড়ী উপজেলার বিরইন তলা গ্রামের শফিকুল ইসলাম এর পুত্র মাহবুবুল আলম রওশন ( ভোটার নং- ৫৮০৩৮০৭০৭২০১) এর বিরুদ্ধে। এসব প্রতারনা ও জালিয়াতির ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে আজ ২০ মার্চ দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিজ্ঞা‘র স্ত্রী আজিরুন বেগম। লিখিত বক্তব্য তিনি জানান- তার স্বামী বীর মুক্তিযুদ্ধা শফিক মিয়া (ভারতীয় মুক্তিযোদ্বা নং-২৭৮২০,গেজেট নং- ১০৬১), বিগত ১১/১২/২০০৬ইং, কমলগঞ্জ উপজেলার কালেংগা গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন কাজ সম্পন্ন শেষে কালেংগা গ্রামেই তাকে কবর দেওয়া হয়। স্বামীর মৃত্যুর সময় তিনিসহ তার ২ পুত্র জয়নাল মিয়া ও কামাল মিয়া ও ৪ কন্যা আয়েশা বেগম, রাহেলা বেগম, লাকি বেগম, সাকি বেগমকে রেখে মারা যান । স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বিগত ২০০৭ সালের জুলাই মাস হইতে নিয়মিত স্বামীর উত্তরাধীকারী সূত্রে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করিয়া আসিতেছেন। স¤প্রতি মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গওঝ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, জুড়ী উপজেলার মাহবুব আলম রওশন নামীয় এক ব্যক্তি তার স্বামীর ভূয়া সন্তান সেজে মুক্তিযােদ্ধা ভাতা উত্তোলন করিতেছেন । তিনি আরো জানান- গত ৭ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মাহবুবুল আলম রওশন এর পিতা শফিকুল ইসলাম কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তার দাদার নাম রেজান আলীর স্থলে আমার শশুর আজন মিঞার নাম জালিয়াতি করে আমার স্বামীকে তার পিতা পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। তা সঠিক তদন্ত করলেই তার দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে । মাহবুব আলম রওশন‘র যতাক্রমে চাচারা হলেন- উকিল মিয়া, মুক্তার মিয়া ভোটার নং-:৫৮০৩৮০৭০৭১৯৯ , মৃত রফিক মিয়া, মনির হোসেন ভোটার নং-৫৮০৩৮০৭০৭১৮২, এবং তার ফুফুদের ভোটার আইডিতে এবং তাদের বিষয় সম্পত্তির সকল কাগজাতে তাদের পিতার নাম [মাহবুব আলম রওশনের দাদার নাম] রেজান আলী উলেখ রয়েছে। সে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন কাগজাত জালিয়াতির মাধ্যমে বিগত ২০১৪ সালে তার মাতা জুবেদা খাতুনকে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দাবী করে ভাতার প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। বিগত ২০১৮ সাল হইতে ভাতা শুরু হলে মাতার মৃত্যুর পর হইতে তিনি উত্তরাধীকারী হিসেবে ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। ভুক্তভোগী আজিরুন বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ রতœ প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দের কাছে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সন্তান সেজে রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলনকারী মাহবুবুল আলম রওশন এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিগত ২০১৮ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলনকৃত ভাতার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়ার জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিজ্ঞার ছেলে কামাল মিয়া, মেয়ে লাকি বেগম, মেয়ের জামাই আজিজুল ইসলাম, নাতি শুভ আহমেদ প্রমুখ।