পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের নলদাহ গ্রামের সুরুজ আলীর স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী মোছাঃ নাছিমা খাতুন ( ৩০) পুলিশী হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন। ২০ মার্চ বেলা ১২ টায় পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তিনি তারঁ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তিনি ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন,
আমি মোছা. নাছিমা খাতুন (৩০), স্বামী মো. সুরুজ আলী, গ্রাম- ঘোড়াদাহ, ইউনিয়ন- ভাঁরারা, পাবনা সদর, পাবনা। আমি ৪ সন্তান ও স্বামীসহ ঘোড়াদাহ বসবাস করতাম। কিন্তু বাড়িতে সন্ত্রাসীরা সব লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে বর্তমানে পাশ্ববর্তী এলাকা নলদাহ গ্রামে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকি। গত ১৬/০৩/২০২১ খ্রি. মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে পাবনা সদর থানার এস আই মাহবুল সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমার ভাড়া বাড়িতে আসেন। এ সময় আমি গোসল খানায় গোসল করছিলাম। এস আই মাহবুল সরকার আমার বাড়িতে অতর্কিত হোন্ডাসহ প্রবেশ করে। হোন্ডার শব্দে আমি চিৎকার করে বলি যে, একটু পরে আসেন, আমি গোসল করছি। কিন্তু আমার কোন কথায় কর্ণপাত না করে সে আমার গোসল খানায় ঢুকে পরে। এ ঘটনার ১২/১৩ দিন আগেও এই পুলিশ অফিসার রাত আড়াইটার দিকে আামর বাড়িতে আসেন। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। উল্লেখ্য আমার স্বামী মো. সুরুজ আলী ওরফে সুরুজ্জামান চরমপন্থী দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। সন্ত্রাসী জীবন থেকে সাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ২০১৮ খ্রি. ৯ এপ্রিল পাবনা আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামে সরকারের কাছে আমার স্বামী আত্ম সমর্পন করেন। সে সময় সরকার আমাদের ঘর সংসার চালানোর লক্ষে ব্যবসা করার জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদান দেন। তারপরও সরকার আমার স্বামীকে আরও দুই দফায় ৫০ হাজার নগদ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে আমার স্বামী ব্যবসা করে আমাদের সংসার চালায়। বর্তমানে আমার স্বামী কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত নয়। তবে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল তার ভাল হওয়া সহ্য করতে না পেরে আমাদের কে বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে। পাবনা থানা ইনচার্জ মোবাইলে জানান, এসআই মাহবুল সরকারের সাথে আরও ফোর্স ছিলেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তিনি স¤প্রতি ঘটে যাওয়া খুনের মামলার সন্দেহভাজন আসামী উক্ত সুরুজ আলীকে ধরার জন্য অভিযান চালান এস আই মাহবুল সরকার।