রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে ভাবীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ধামা চাপা দেওযার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভিকটিম। এই বিষয়টি নিয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজনসহ এলাকার কিছু মানুষ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিমাংশা করা হয়েছে বলে প্রচারণা করছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া খাঁ পাড়া গ্রামের সোলেমানের ছেলে লম্পট রাকিবুল ইসলাম রাকিব গত (১৪ মার্চ) রবিবার রাত ১১ টার দিকে তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির ভাবীর ঘরে গিয়ে দুই সন্তানের জননী (২২) কে ধর্ষনের চেষ্টা এবং নির্যাতন করে থাকে। এ সময় তার আতœচিৎকারে স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে। সেই দিন এলাকায় জালসা থাকার কারণে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ধর্ষনের চেষ্টা করে রাকিব। এবং পরের দিন ভিকটিম থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে মঙ্গলবার রাতে থানার এসআই সোহেল রানা ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। কিন্তু আসামী বাড়ীতে না থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ভিকটিমের শশুর জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত (১৮ মার্চ) রাতে পুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু এবং এলাকার প্রধানগণসহ বসে একটি মিমাংশা করে দিয়েছে। তবে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সোহেল রানা জানান, থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ স্যার বিষয়টি আমার নামে ইনডুস করলে আমি তদন্ত পূর্বক আসামীকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। এবং আসামী রাকিব বাড়ীতে না থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। এতে মিমাংশা করার সুযোগ নাই। মিমাংশা করলে আদালত করবে। থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া আসামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।#