একুশে বই মেলা উদযাপন পরিষদ পাবনার আয়োজনে ৭ম দিনের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,বই পারে একজন মানুষকে ভাল মানুষ করে গড়ে তুলতে। শুধু ডিগ্রী নিয়ে ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার হলেই ভাল মানুষ হওয়া যায় না। এর জন্য দরকার পাঠ্য বইয়ের সাথে ভাল ভাল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আর সেটা ছোট বেলা থেকেই করা উচিত। বাংলাদেশের মত একটানা একমাস ধরে বই মেলা পৃথিবীর আর কোন দেশে হয়না। এটা আমাদের গর্ব। ১৯৬৫ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের তৎকালিন পরিচালক সরদার জয়েন উদ্দীন তৎকালিন কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ( বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি) নিচতলায় বাংলাদেশে প্রথম বইমেলার আয়োজন করেন। এর পর থেকেই প্রতিবছর হয়ে আসছে বইমেলা।
রোববার পাবনা টাউন হল মাঠে বাদ মাগরিব নাগরিক মঞ্চের অন্যতম সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ ব্যুরো‘র সভাপতিত্বে এবং সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসমত, সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধ আজিজুর রহমান টিংকু, দৈনিক সিনসা সম্পাদক ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি এস এম মাহবুব আলম, অধ্যাপক আব্দুল দায়েন সরকার এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক। অনুষ্ঠানে একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, পাবনা রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আব্দুল হামিদ খান, সাহিত্য ও বির্তক ক্লাব পাবনার সভাপতি ড. মনছুর আলম, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি শফিক আল কামাল, বার্তা সংস্থা আইএনএস প্রধান সম্পাদক হাসান আলী, কবিতা সংসদ পাবনার প্রতিষ্ঠাতা কবি মানিক মজুমদার, আসাদ বাবু, সাংবাদিক অয়ন সহ বইমেলায় আগত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক সন্ধ্যা।