মোবাইল ভিত্তিক পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে বলে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মত দিয়েছেন বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞগন। চীনা টেলিযোগাযোগ খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান জেডইটি সম্প্রতি সাংহাইতে অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ‘ফাইভ জি মেসেজিং ফোরাম’ শীর্ষক আয়োজন করে বলে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ কার্যালয় থেকে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক নির্বাহী এবং বিশেষজ্ঞ অনলাইন এবং সরাসরি অংশগ্রহন করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ফাইভজি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এই সম্মেলনে। টেলিযোগাযোগখাতের নীতিনির্ধারকদের আকর্ষনে থাকা সম্মেলনটি প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিলো, গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল অ্যাসোসিয়েশান(জিএসএমএ), সিসিএসএ বা চায়না কমিউনিকেশন্স স্টান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশান, এশিয়া ফিনান্সিয়াল কোঅপারেশন অ্যাসোসিয়েশান, চায়না ইউনিয়ন পে, ঝেজিয়াং মেট্রোলজিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, চায়না টেলিকম, চায়না মোবাইল, চায়না ইউনিকম এবং জাপানের কেডিডিআই। এর পাশাপাশি, ফাইভজি মেসেজিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জেডইটি, গৌদু ইন্টারকানেকশন, সাঙ্ঘাই দাহান্ত্রিকম কর্পোরেশন এবং হোয়েল ক্লাউড টেকনোলজি অংশগ্রহন ছিলো উল্লেখযোগ্য। ফাইভজি মেসেজিং সেবার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল উল্লেখ করে জেডইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং জিয়াং বলেন, টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অপারেটরদের নেটওয়ার্ক তৈরী, সেবা উন্নয়ন এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। তিনি বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, ফাইভজি মেসেজিংয়ের জন্য পরিবেশ তৈরিতে, উচ্চ পর্যায় থেকে মাঠ পর্যায়ের অংশীদারদের টার্মিনাল প্রস্তুতে এবং সেবা দাতা ও ব্যবসায়ী গ্রাহকের সাথে একসাথে কাজ করবে জেডইটি। তিনটি অপারেটরকে শিল্প গবেষনা এবং বানিজ্যিক (ফাইভ জি মেসেজিং) পরীক্ষায় জেডইটি সাহায্য করেছে। এর পাশাপাশি, সরকারী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ নয়টি শিল্পের জন্য ৩০০ অ্যাপলিকেশনকে উন্নয়ন করেছে প্রতিষ্টানটি।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে, জেডইটি ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কুয়ান বলেন, হাজারো শিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছে ফাইভজি মেসেজিং সেবা এবং এটি ভবিষ্যতে প্রান্তিক পর্যায়ের আরো অনেক মানুষের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। জেডইটি এনি মেসেজিং প্লাটফর্মের আওতায় এনিনেটওয়ার্ক, এনি সার্ভিসেস, এনিহোয়ার এবং এনি স্কেল সেবার সমূহের প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। চীনা অপারেটর এবং অংশীদারদের সাথে একসাথে কাজ করে দেশটি ফাইভজি মেসেজিং সেবা একটি পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয় এই ফোরামে। এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারকদের পক্ষ থেকে ৬০ টি টার্মিনাল ছাড়া হয়েছে এবং এই ব্যবস্থা সম্পুর্নরূপে উদ্ভাবনী সেবা হিসেবে হাজারো শিল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। চায়না ইনিকম মহাব্যস্থাপক ঝ্যাং ইউনঅং বলেন জাপান, দক্ষিন কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিক্ষা গ্রহন করে চীনের তিনটি অপারেটর পারস্পরিক পরিচালনায় সহযোগিতা এবং সেবা উন্নয়নে কাজ করতে হবে। যেকোন শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম জেডইটির চালু করা ওপেনল্যাবের দ্বিতীয় সংস্করন এবং প্রথমবারের মত ইন্ডাস্ট্রি সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা ফাইভজি মেসেজিং প্রযুক্তির পরিচালনায় এবং প্রশিক্ষনে সাহায্য করছে। গতবছর এপ্রিল মাসে, ফাইভজি মেসেজিং কে বৈশ্বিকভাবে সার্বজনীন সেবা হিসেবে তৈরী করতে এবং অধিক সংখ্যক শিল্পকে এগিয়ে নিতে চায়নার প্রধান তিন অপারেটর যৌথভাবে একটি ওয়াইটপেপার (নীতিমালা) প্রকাশ করে।