রাজশাহীর তানোর উপজেলার হাড়দহ বিলের প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তার রিপিয়ারিং কাজে প্রচুর অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে করে রাস্তার টেকসই নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাস্তার কাজের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কারন এই সরকারের সময় একাধিকবার রাস্তাটি সাংস্কার হলেও বেশি সময় টিকসই হয়না। স¤প্রতি রাস্তাটিতে গিয়ে দেখা যায়, হাড়দহ বিলের ২ কিলি মিটার রাস্তার রিপিয়ারিং কাজ চলছে। ইতিপূর্বেই রাস্তাটির পিচ তুলা হয়েছিল। রাস্তায় দেখা যাচ্ছিল পুরাতন কুচিকুচি পাথর। পাথরের উপরেই খোয়া দেয়া হচ্ছে। শুধু তাইনা রাস্তার বড়বড় পিচের খাম্বা গর্তে দিয়ে অভিনব কায়দায় দেদারসে অনিয়ম চলছে। সেখানে ছিলেন এলজিইডির মৃনাল কুমার ঘোষ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় এই সব পুরাতন পিচ দেওয়ার পর কিভাবে খোয়া দেওয়া হচ্ছে জবাবে তিনি জানান এটাই নিয়ম এজন্যই দেওয়া হচ্ছে। কাজের শিডিউল দেখতে চাইলে ও কত টাকার কাজ এবং কে কাজ করছে জানতে চাইলে কোন কিছুই জানেননা, শুধু ঠিকাদার স্বপনের নাম বলেন। একাধিক গাড়ি চালক জানান এই রাস্তাটি কয়েক বছর আগেই করা হয়েছিল। ওই সময় গলাবাজি করে উপজেলা প্রকৌশলী বলেছিলেন পাচ বছর রাস্তার কিছুই হবেনা। কিন্তু বছর না যেতেই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে যে ভাবে রাস্তাটির কাজে অনিয়ম করা হচ্ছে তাতে করে এক বর্ষাও যাবেনা কিনা সন্দেহ। যহির নামের এক চালক জানান পুরাতন পিচ পাথর নষ্ট হওয়ার কারনেইতো নতুন ভাবে কাজ করা। কিন্তু সেই পুরাতন পিচ পাথরের উপর নিম্মমানের খোয়া দিয়ে রোলার মেরে বালু দেওয়া হচ্ছে। এতে করে পানি হওয়া মাত্রই রাস্তাটি দেবে যাবে। আসলে কর্তা বাবুদের দেশ ইচ্ছেমত অনিয়ম দুর্নীতি করলেও কেউ দেখারও নেই বলারও নেই। এই রাস্তার বিষয়ে জানতে গত দুইদিন ধরে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেন। তিনি সহজে সংবাদ কর্মীদের ফোন রিসিভ করেননা বলেও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রকৌশলীর কাচ ঢাকা দপ্তরে যেতে চাইলে পরে যেতে বলেন। কিছুক্ষুন পর এসে দেখা যায় তাঁর দপ্তরে তালা। বেশকিছু উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা পর্যায়ে কাচ ঢাকা এসি দপ্তর কিভাবে ব্যবহার হয় বুঝে আসেনা। এটাতো সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। এজন্যই হয়তো সংবাদ কর্মীদের ফোন রিসিভ করেন না।