কৃষকের মালিকানাধীন জায়গা ও পারিবারিক শশ্মান দখল করে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ধর্মপাশায় সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কাইলানী হাওরের ২৪ নম্বর প্রকল্প কমিটির বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি ও পারিবারিক শশ্মান জোর পূর্বক দখল করে বাঁধ নির্মণের প্রতিবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলন  অনুষ্টিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শানবাড়ি গ্রামের কৃষক পরিমল মজুমদার তার নিজ বাড়িতে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিমল মজুমদারের  স্ত্রী মিতু বিশ্বাসসহ পরিবারের লোকজন।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক পরিমল মজুমদার তার   লিখিত  বক্তব্যে বলেন,   আমি এলাকার একজন নিরীহ কৃষক।  আমার নিজ গ্রামের পাশ দিয়ে কাইলানী হাওরের  ফসলরক্ষা বাঁধের একটি  উপ প্রকল্পটি রয়েছে। উক্ত বাঁধটি অনেক  বছর আগে থেকেই পানি উন্নায়র বোর্ড যে দিকদিয়ে বাঁধে  নির্মণ করে আসছে এবার উক্ত বাঁধটি পূর্বের নকশা অনুযায়ি না করে এবার পাউবোর উপসহকারি প্রকৌশলী মো. এমরান হাসনের  যোগসাজশে প্রকল্পের সভাপতি সরোয়ার্দী তালুুুুকাদার বাঁধের  মূল নকশা পরিবর্তন করে তিনি  আমার  মালিকানাধিন জমি ও পারিবারিক শশ্মানের উপর দিয়ে বাঁঁধ নির্মাণ কাজ করে আসছিলেন। পরে এ বিষয়ে আমরা বাধা দেই এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করি।  আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিত  গত ২৬ ফেরুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান সাংবাদিকসহ এলাকার গণমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং তিনি ওই বাঁধটি পূর্বের নকশা অনুযায়ি বাঁধ   নির্মাণের জন্য সীমানা নির্ধারন করে  সেখানে সকলের উপস্থিতে খুঁটি ঘেড়ে দিয়ে আসেন। কিন্তু  ইউএনও স্যারের নির্দেশ অমাণ্য করে
পর দিন সকালে প্রকল্প কমিটির সভাপতি সরোয়ার্দী তালুকাদার  তার লাঠিয়াল বাহীনি নিয়ে আমাদের মালিকানাধিন জায়গা ও  পারিবারিক শশ্মানের উপর দিয়ে বাঁধ  নির্মণ কাজ শুরু করে দেন।
পরে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে  আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে বাঁধ নির্মণ কাজ বন্ধ করি  এবং বিষয়টি ইউএনও স্যারকে পূনরায় জানাই ।
তিনি আরো বলেন, প্রভাবশালী প্রকল্প সভাপতি ওই দিনই উল্টো  আমাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে  আমাদের বিরুদ্ধে  দৈনিক সমকাল পত্রিকায়  একটি মিথ্যা ও বানোয়াট  সংবাদ প্রকাশ করান।
আমরা  আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদটির তীব্র নিন্দা  ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি ওই সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার  পর গত ১ মার্চ প্রকল্পের সভাপতি  তার লোকজন নিয়ে  পূনরায় জোরপৃর্বক আমার জমি ও পারিবারিক শশ্মান দখল করে বাঁধ নির্মণ কাজ সমাপ্ত করে। আমরা উক্ত সাংবাদ  সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্টু তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।