কামরুল হাসান, টাংগাইল পতিনিধি: ঈদযাত্রায় উত্তরের পথে যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ৫ দিনে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা।
শনিবার (২৯ মার্চ) সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০টাকা।
অপরদিকে ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।
এ ছাড়াও ঈদযাত্রায় বৃহস্পতিবার থেকে বুধবার যমুনা সেতুতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ যানবাহন পারাপার হয়। যার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টা সেতুতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে সেতু পশ্চিম টোল প্লাজা দিয়ে ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা। অপরদিকে সেতু পূর্ব টোল প্লাজা দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১৫ হাজার ৩৫৪টি। টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা।
এর আগে রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্য়ন্ত ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন সেতু পার হয়। টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় যান চলাচল হয়েছে ৫ হাজার ১৩৬টি। টোল আদায় বেশি হয়েছে ৩০ লাখ ২৫ হাজার টাকার।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ততই বাড়ছে৷ যানবাহন বেশি পারাপার হওয়ায় টোল আদায়ের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় সেতুর দুই প্রান্তে ১৮টি বুথ চালু রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও সেতুর দুপ্রান্তে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদাভাবে চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।