বীরগঞ্জে ভিডিও চিত্র ইর্ন্টানেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঞ্চল্যকর ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত খালেক চেয়ারম্যানের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ, মাননীয় আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খালেক সরকার ২০১৯ইং রিলিফ চাল দেওয়ার লোভ দিয়ে সৈয়দপুর কল্যানী গ্রামের ভ্যান চালক খায়রুলের স্ত্রীকে ধর্ষণের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে আপোষের নামে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তৎকালীন ওসি সাকিলা পারভিন ৫ লক্ষ ঘুষ নিয়ে ২ সাংবাদিক সহ ৮ জন নির্দোষ সাধারন মানুষের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে চরম হয়রানী ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল।
কিন্তু সাবেক বিএনপি নেতা খালেক চেয়ারম্যান সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী নারীকে নিয়ে ভিডিও চিত্র ধারন ও ইর্ন্টানেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষনে তথ্য ও ভিডিও চিত্র অনুযায়ী ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী/০৩ইং) আইনের ৯(১)/৩০ ও ২০০০ইং সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) ধরায় ১৬(১২)২০ নম্বর একটি মামলা করে। যাহার জিআর নম্বর ২১০/২০২০। খালেক চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবীতে এলাকার সর্বস্থরের উত্তাল জনতা দূর্বার আন্দোলন হিসেবে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতারে ব্যপক তৎপরতা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।
খালেক চেয়ারম্যান বাড়ীঘর ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়ে ঢাকায় মহামান্য হাইকোর্টে আগাম জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারোয়ারের বেঞ্চ মৃত তছলিম উদ্দিনের পুত্র আসামী মোঃ আব্দুল খালেক সরকারকে দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের সন্তষ্টিতে উপযুক্ত জামিননামা দাখিল শর্তে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। নির্দেশনা থাকে যে, আসামী বর্নিত সময়ের পুর্বেও জামিনের জন্য দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের গুনাগুনের ভিত্তিতে উক্ত জামিনের দরখাস্ত নি®পত্তি করতে পারবেন।
আসামী নির্দেশনা মতে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে পদক্ষেপ নিলেও সফল হতে পারেন নি বলে জানা গেছে। উলেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর’২০২০ তারিখে আগাম জামিন নিয়ে ঢাকা থেকে বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করলে, মহামান্য হাইকোর্ট ও প্রশাসনকে চ্যলেঞ্জ করে মটর সাইকেল ও ট্রাক্টরের বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে শো-ডাউন দিয়ে উলাস করতে করতে তার নিজ বাড়িতে পৌছায়, যা সারা দেশের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে হতবাক হয়ে তাকে ধিক্কার জানায়। তাছাড়া খালেক ও তার পোষা বাহিনী ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে আবারও নির্দোষ মানুষদেরকে ফাঁসিয়ে নিজে রক্ষা পেতে থানায় এবং আদালতে একাধিক মিথ্যা মামলা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কারন হিসেবে থানাদার এবং আদালত চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রতি সজাগ দৃষ্টির-ই- প্রতিফলন বলে অভিহিত করেছেন বলে সুধী মহল মনে করেন।
আগাম জামিনে পেয়ে খালেক চেয়ারম্যান প্রতিপক্ষকে প্রাননাশের হুমকি সহ নানাবিধ হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে। খালেক চেয়ারম্যান ধর্ষিতা তার স্বামী, বাবা-মা সহ পরিবারের লোকজনকে নিজ বাড়ীতে জিম্মি কওর রেখেছে মর্মেও থানায় জিডি করা হয়েছে। প্রভাবশালী খালেক চেয়ারম্যানের ভয়ে অনেকে তটস্থ। জামিনে বেড়িয়ে এলে কার অবস্থা কি হবে? তাই নিয়ে প্রতিপক্ষরা দিশেহারা।