রাজশাহীর বাগমারায় ধলার বিল মৎস্যচাষী সমিতির মাছচাষ প্রকল্পের বানাকেটে বিপুল পরিমান মাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাছ চুরির ক্ষতিপূরণ চেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ধলার বিল মৎস্যচাষী সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান। জানাগেছে, উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের ধলার বিলে বেশ কয়েক বছর থেকে স্থানীয় জমির মালিকরা মাছচাষ করে আসছিল। দীর্ঘদিন মাছ চাষ করে আসলেও নতুন করে দুটি পক্ষের আবির্ভাব ঘটে ওই ধলার বিলে। হাজার বিঘার অধিক মাছ চাষকৃত জলাশয়কে উভয় পক্ষের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান মিলে অর্ধেক করে ভাগ করে দেয়। বিলের মাঝখানে বাঁশের তৈরি বানা দিয়ে পশ্চিম ধারে ধলার বিল মৎস্যচাষী সমিতির এবং পূর্বধার অপর পক্ষ পাইকপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমান, জাফর আলী, এমরান আলী, জেকের আলী, আসাদুর রহমান, রেজাউল করিম, সোবহান আলী, ধামন কামনগর গ্রামের বয়েন উদ্দীন সহ বেশ কয়েজন মিলে মাছ চাষ শুরু করে। রাতের আঁধারে সেই বানার বিভিন্ন স্থানে কেটে পারা স্থাপনের মাধ্যমে সুকৌশলে পূর্বদিকের পক্ষ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চুরি বা তাদের দিকে পার করে নিয়েছে। বানা কেটে মাছ চুরির ঘটনায় এলাকা চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি প্রথমে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি মিমাংসার উদ্যোগ নেন এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের কথা বলেন। সেই মোতাবেক ধলার বিল মৎস্যচাষী সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ধলার বিল মৎস্যচাষী সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, চলতি বছর আগামী ১০ বছরের জন্য বিলের উপরের জমিগুলোতে বিনামূল্যে কৃষককে ধান চাষের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে আর বিলের একদম নিচে যে জমিগুলো আছে সে গুলোর টাকা দিতে হয়। প্রতি বছর এখান থেকে প্রায় এক কোটির অধিক টাকার মাছ বিক্রয় হয়ে থাকে। বর্তমানে ধলার বিল মৎস্যচাষী সমিতির পক্ষ থেকে লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বিলের পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। সেই পোনা মাছ নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছিলেন মৎস্যচাষীরা। তাদের সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে বানাকেটে রাতারাতি মাছ চুরি করছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম প্রামানিক বলেন, বানাকেটে পারা স্থাপনের মাধ্যমে মাচ চুরির ঘটনায় ধলার বিল মৎস্যচাষী সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসার ব্যবস্থা করা হবে।