গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পাশ কাটাতে গিয়ে কাভার্ডভ্যানের লুকিং গ্লাস ভেঙে যাওয়ায় মোঃ শাহজাহান (৩৬) নামে এক বাসচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
শাহজাহান কাপাসিয়া উপজেলার বরুণ এলাকার মোঃ আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের বরমী এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় আমান গ্রুপের শ্রমিক আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত বাস চালাতেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আব্দুস সালাম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় বৃহস্পতিবার রাতেই নিউ যমুনা ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড পার্সেলের চালক টিটু (২২) এবং নিউ গাজীপুর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সেলসম্যান মোঃ রফিকুল ইসলামের (২৭) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার বাদী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহজাহান ওই কারখানার অপর স্টাফ বাসের চালক মোঃ কামালের বাসে তার পেছনের সিটে বসে স্থানীয় গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি হাজী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরতে যান। পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি ব্যাসস্ট্যান্ডের অদূরে পৌঁছালে তাদের গাড়ি জ্যামে পড়ে। এ সময় কাভার্ডভ্যানের চালক ওই বাসের বামপাশ দিয়ে কামালদের বাসের সামনের অংশ লাগিয়ে দেন। এতে কাভার্ডভ্যানের ডান পাশের লুকিং গ্লাসটি ভেঙে যায়।
এ নিয়ে টিটু ও তার সঙ্গী রফিকুলের সঙ্গে বাসচালক কামাল ও শাহজাহানের কথা কাটকাটি হয়। একপর্যায়ে টিটু ও তার সহযোগী রাস্তার পাশের আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাসচালক কামালের পেছনের সিটে বসে থাকা শাহজাহানকে পাশের জানালার গ্লাস ভেঙে ভেতরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নামিয়ে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে শাহজাহান অজ্ঞান হয়ে পড়লে টিটু সহযোগীকে নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় কামাল মোবাইল ফোনে ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করেন। আহত শাহজাহানকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহজাহান মারা যান। রাত ৮টার দিকে পুলিশ শাহজাহানের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
এদিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ এমএ সাইদ জানান, বিকেল ৩টার দিকে শাহজাহান নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে মারধরের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, পুলিশ কাভার্ডভ্যানসহ বিক্রয়কর্মী রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার কেরলেও চালক টিটুকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা আব্দুস সালাম বাদি হয়ে রফিকুল ইসলাম ও টিটুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। টিটুকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।