সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কাইলানি নামক ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামত কাজ পাউবো’র গঠিত অবৈধ প্রকল্প কমিটি বাতিলের দাবিতে এক মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকার শতাধিক কৃষক।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শানবাড়ি, ঘিড়ইল ও রাজাপুর গ্রামের ক্ষুব্ধ কৃষকেরা কাইলানী বাঁধের উপর প্রায় ৪০ মিনিট সময় দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালণ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের কৃষক রহিছ মিয়া, মাসুদ মিয়া, লুৎফুর রহমান, শানবাড়ি গ্রামের কৃষক কমরেড চৌধুরী, প্রনেশ মজুমদার, ঘিড়ইল গ্রামের কৃষক আব্দুল গনি,শাহজাহান মিয়া, বড়ই গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া,আলী আমজাদ,বানারশিপুর গ্রামের কৃষক মুক্তুজা,আব্দুল খালেক প্রমুখ।
মানববন্ধে কৃষকেরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, উপজেলার কাইলানি হাওরে টংগী বাঁধ প্রকল্পের আওতায় থাকা শানবাড়ি নামক স্থানে বাঁধের পাউবো’র গঠিত ২৪ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার্দি তালুকদারের ওই প্রকল্পের আওতাধিনে থাকা হাওরে কোন জমি নাই, পাউবো’র নিতিমালা বহির্ভুতভাবে তাঁকে ওই বাঁধের সভাপতি করা হয়েছে। এ ছাড়াও উক্ত প্রকল্প কমিটিতে বাঁধ সংগ্নল শানবাড়ি, ঘিড়ইল, বড়ই, রাজাপুর ও বানারশিপুর এই পাঁচটি গ্রামের একজন কৃষককেও এ পিআইসি কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়নি। এমন কি প্রকল্পের সভাপতি সারোয়ার্দি তালুকদার তিনি তাঁর ক্ষমতা বলে ওই পাঁচটি গ্রামের কৃষকদের রেকডিও ফসলি জমি বিনষ্ট করে সেখান থেকে মাটি কেটে এনে যেনতেন ভাবে ওই বাঁধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় অবৈধ ভাবে গঠিত ওই প্রকল্প কমিটি বাতিল করে অনতিবিলম্বে ওই পাঁচটি গ্রামের প্রকৃত কৃষকদের সমন্বয়ে নতুন প্রকল্প কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান কৃষকেরা।
অভিযুক্ত প্রকল্প কমিটির সভাপতি সারোয়ার্দি তালুকদার বলেন, এ হাওরে আমার জমি নাই এ কথাটি ঠিক না এবং পাউবো কর্তৃপক্ষ আমাকে যে মেজারমেন্ট দিয়েছে আমি সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও সুনামগঞ্জ পাউবো’র উপসহকারি প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন বলেন, বাঁধ মেরামত কাজ পাউবো’র নিতিমালা অনুযায়ী করা হচ্ছে। এখানে মাটি কম কাটার কোন সুযোগ নেই এবং আমরা নিয়মিতই ওই সব প্রকল্প এলাকা মনিটরিং করে যাচ্ছি। তবে কোন কৃষকের ফসলি জমি কেটে বা কোন ধরনের ক্ষতি করে বাঁধে মাটিকাটা হয়ে থাকলে এ বিষয়টিও আমরা কৃষকদের নিয়েই সমাধান করবো।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. মুনতাসির হাসান বলেন, নিতিমালা অনুযায়ী প্রকল্প কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সে মোতাবেকই বাঁধ মেরামত কাজ করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি এলাইনম্যান্ট না মেনে কাজ করে থাকে, তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।