মেনু

আগৈলঝাড়ায় প্রভাবশালীদের বালু ব্যবসায় দখলের কবলে সন্ধ্যা নদী

// অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
বরিশালের আগৈলঝাড়ার খর¯্রােত সন্ধ্যা নদী বালু ফেলে দখল করছে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। এতে নদী সংকুচিত হয়ে নাব্যতা হারিয়েছে। যে কারণে ওই নদী দিয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন থেকে দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হলেও কয়েকদিন পর পুনরায় দখল হয়ে যায় নদীর জায়গা। নদী দখলের কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে ক্রমে খালের পরিণত হয়েছে। সার্ভেয়ার ও তহশীলদারদের ম্যানেজ করে এই বালু ভরাট করছে প্রভাবশালীরা। সাংবাদিকরা লিখে তাদের কিছুই করতে পারবেনা বলে দখলদাররা হুঙ্কার দেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পয়সারহাট সন্ধ্যা নদীর পূর্বপাড় দখল করে বালু ভরাট করছে স্থানীয় ওয়াজেদ ভাট্টির ছেলে ওলিউর রহমান ভাট্টি, বাগধা গ্রামের আ. রব তালুকদারের ছেলে বাগধা বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এমদাদুল হক তালুকদার। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, নদী দখলের সময় ভূমি অফিসের একাধিক লোকজন এসে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন। কয়েকদিন পরে পুনরায় ভরাট কাজ শুরু হয়। এসময় ওই ভূমি অফিসের লোকজনকে ফোন দিলেও তারা আর ঘটনাস্থলে আসেন না। এছাড়াও পরসারহাটের বালু ব্যবসায়ী কাওছার শিকদার পয়সারহাট ব্রিজের উত্তরপাশে সন্ধ্যা নদীর পাড় দখল করে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন সরেজমিন গিয়ে সার্ভেয়ার ও তহশীলদারদের দিয়ে নদীর জায়গা মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। তারপরেও ব্যবসায়ী কাওছার শিকদার এখন পর্যন্ত নদীর পাড়ের দখল করা জায়গা থেকে বালু অপসারণ করেনি। সে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে একাধিকবার উচ্ছেদ করা হলেও তারা পুনরায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নদীর পাড় দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। সন্ধ্যা নদীর দু’পাড়ে আগৈলঝাড়া অংশের ১০-১২টি স্থান দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা করে আসছে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযানে গেলে নদীর পাড়ে দখল করা জায়গা তাদের রেকর্ডিয় সম্পত্তি বলে দাবি করে। নদীর পাড় দখল করে বালু ভরাটকারী এমদাদুল হক তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি চাঁদত্রিশিরা গ্রামের আ. জব্বার ভাট্টি, ছালাম ভাট্টিসহ ১২জনের কাছ থেকে ১৮শতাংশ জায়গা ক্রয় করে বালু ভরাট করে আসছি। ভরাট করা জায়গা সন্ধ্যা নদীর নয়। আমার রেকর্ডিয় জায়গা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি এই উপজেলায় নির্বাচনের পূর্বমূহুর্তে যোগদান করেছি। নদীর পাড় সরেজমিন পরিদর্শন করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।