বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া শাজাহানপুরের ফটকি সাজাপুর মাদ্রাসার বিপরীতে মহাসড়কের পাশেই নির্ধারিত জায়গা না ছেড়েই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং পূর্বের থাকা অবৈধ স্থাপনা না ভেঙ্গে গায়ের জোরে স্থাপনা রেখে দিয়ে পিছনে এক ডাক্তারের বাড়ি থেকে বের হওয়া দুষ্কর করে দিয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে তার দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী এক মার্কেট মালিক এর বিরুদ্ধে।
ঘটনাস্থলে সরিজমিনে দেখা যায়, উক্ত স্থানে মহাসড়কের পাশেই মৃত: গোলাম মোস্তফার ছেলে খন্দকার আবুল হাসনাত এর মালিকানাধীন আনুমানিক প্রায় ১৭ শতক জায়গা রয়েছে যেখানে থাকা মার্কেট এবং গোডাউন ফোরলেন রাস্তার কাজে অধিগ্রহণ করা হয়েছে তারপরেও কিছু ফাঁকা জায়গা তার অবশিষ্ট রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মহাসড়কের সাথে কোন স্থাপনা করতে হলে নির্দিষ্ট দূরত্বে জায়গা ছাড়তে হয় কিন্তু জমিটি ত্রিভুজ আকৃতির হওয়ায় তিনি শুধু পিছনে দেড় ফিট জায়গা ছেড়ে ফাঁকা জায়গা দখলে রাখতে ইতিমধ্যেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। কিন্তু সড়কের পাশেই পিএল সীমানার মাঝেই তার অবৈধ স্থাপনা তিনি বহাল তবিয়তে সেখানে রেখে দিয়েছেন যার দরুণ এর পিছনেই থাকা ডা: এ এইচ এম খায়রুল আলম (বি.ইউ.এম.এস) এর বাড়ি থেকে বের হওয়া দুষ্কর হয়ে পরেছে। পরিবারের সদস্যদের অন্যত্র পাঠিয়ে অন্যের জায়গার উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাকে যার জন্যে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে বাড়ির সামনে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি কামনা করে বের হওয়ার রাস্তা চেয়ে মানবিক বিচার কামনা করছেন তিনি। এই স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে বাড়ির সম্মুখে রাস্তার জন্যে একই দাবি করেছেন ডাক্তারের বাড়ির সাথেই থাকা আরেক জমির মালিক আব্দুল আলিমের পরিবারসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তিবর্গ।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্করের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী প্রাচীর নির্মাণের সময় পিছনে যদি কোন বসতবাড়ি থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট সকলকে ৩ফিট জায়গা ছাড়তে হয় আবুল হাসনাত তা ছাড়েনি।
বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই গত ২৪ ডিসেম্বর বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার মৌসুমী আফরিদা স্বাক্ষরিত এক আদেশের মাধ্যমে খন্দকার আবুল হাসনাত কে নকশা অনুমোদন ব্যতিরেকে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং এ বিষয়ে পত্রের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শাজাহানপুরের ওসিকে অবহিত করা হয়েছে।
বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে ভোগান্তির স্বীকার ডা: খাইরুল আলম অভিযোগ করেন যে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, শাজাহানপুর থানা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আইন থেকে শুরু করে সকলকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অজানা ক্ষমতায় প্রতিবেশী হাসনাত তাদেরকে এই ভোগান্তি তে ফেলেছে। কোন প্রস্তাবেই সে রাজী নয়, নিজের একগুঁয়েমি স্বভাবে সে অনড় যার দরুণ প্রতিদিন সে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে সহযোগিতা চাইতে চাইতে ক্লান্ত এবং পরিশ্রান্ত। তিনি আরো বলেন, মহাসড়কের পাশে সড়ক ভবনের নিয়ম অনুযায়ী এমনিতেও ১০ মিটারের মাঝে কোন স্থাপনা রাখার নিয়ম নেই সেই আইন প্রয়োগ করলে তো তার স্থাপনার কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তারপরেও তিনি দ্রুততম সময়ে মানবিকভাবে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে আবুল হাসনাত এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি তার মালিকানাধীন জায়গা নিজের দখলে রাখতে শুধু বাউন্ডারী ওয়াল দিয়েছে। অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গা ও রাস্তা ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন যদি তাকে কোন স্থাপনা ভাঙ্গতে বলে তাহলে তিনি তা অবশ্যই পালন করবেন।