ইয়ানূর রহমান : যশোরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এরমধ্যে যশোর পৌরসভার পুরনো হটস্পট গুলিতে সংক্রমণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। গত ৩ দিনে জেলায় নতুন করে আক্রান্ত ৩১ জনই পৌরসভা ও সদরের বাসিন্দা। অথচ চলতি সপ্তাহের প্রথমেও করেনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো একেবারেই কম। হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। পুরনো হটস্পট গুলিতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করার জন্য তারা মানুষের অসচেতনতাকে দায়ি করেছেন।
বর্তমানে জেলার কোথাও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা নিয়মের বালাই নেই চললেই চলে।
সিভিল সার্জন অফিস জানেিয়ছে, গত ৭ দিনের মধ্যে শেষের ৩ দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরমধ্যে শুক্রবার ৮৪ নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জন, শুক্রবার ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে, বৃহস্পতিবার ৬৮ নমুনায় ১০ জন, বুধবার ৭৮ নমুনায় ৬ জন, মঙ্গলবার ৭৮ নমুনা পরীক্ষায় ২ জন, সোমবার ৯৮ নমুনায় ২ জন, রোববার ৬৩ নমুনা পরীক্ষায় ১ জন, শনিবার ২১ নমুনা পরীক্ষায় ০ জনের করোনপ পজেটিভ শনাক্ত হয়।
দিনে দিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে করোনা কমতে শুরু করে। বর্তমানে শনাক্তের হার ছিলো প্রায় শূণ্যের কোঠায়। গত তিন দিনের ফলাফলে দেখা গেছে করোনার সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে ।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু সেই সময় যশোরে করোনা সংক্রমণ কম ছিলো। এখন শেষ সময়ে এসে কিছুটা বাড়েছে। করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যবহার, হাত স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ।
উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত যশোর জেলায় ২৬ হাজার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ হাজার ৭শ’ ৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে যশোরেই মারা গেছেন ৫৮ জন।