মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা প্রধানমন্ত্রীকে সম্পৃক্ত করে কোনো কথা বলতে পারেননি। অথচ সবাই প্রধানমন্ত্রীর লোক বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তারা সুনিদিষ্ট করে কিছু বলেননি। এটা হচ্ছে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতো।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে কাটপিস এনে জোড়া লাগিয়ে তারা বিভিন্নভাবে এ অপপ্রচার চালাচ্ছেন। গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, কারা এ ব্যাপারে জড়িত তা খুঁজে বের করতে। জনগণের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে। আমরা মনে করি জনগণ এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না।
১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের টাউনের বঙ্গতাজ অডিটেরিয়ামে কর অঞ্চল-গাজীপুর এর উদ্যোগে ‘সেরা করদাতাগণের সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘যে সময় তিনি (জিয়াউর রহমান) মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সে সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বীরত্বের কারণে তাকে খেতাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কী বলেছেন আর তিনি নিজে কী বলেছেন তার রেকর্ড আছে। এছাড়া আমাদের কাছে দালিলিক প্রমাণ আছে।’
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রচলিত আইনে আছে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চলে না, রায় দেয়া যায় না। আদালত তাই রায়ে এ প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। তার মানে এই নয় জিয়াউর রহমান দায়ী নন। আমরা আক্রোশমূলক কিছু করছি না। জাতির পিতার হত্যাকারী ও সহযোগীদের ন্যূনতম বিচার হবে না, তা হতে পারে না।’
কর অঞ্চল-গাজীপুর এর কর কমিশনার মোঃ খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদত সরকার, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পরিচালক (ফিন্যান্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আশরাফুল হক, গাজীপুর ট্যাক্সেস বারের সভাপতি মো. আহসান উল্লাহ অন্তু, সোলায়মান হাসান ও অতিরিক্ত কর কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে তিনজন সেরা করদাতা হয়েছেন। তারা হলেন- মোঃ মাহবুবুর রহমান, গাজীপুর সিটি মেয়র এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ মোবারক হোসেন।