মৌলভীবাজার সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে দাম্পত্য বিরোধের কারণে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা চলমান থাকায় জন্মলগ্ন থেকে জমজ ২ সন্তানকে কুলে নিয়ে পিতার আদর করতে পারছেননা দুবাই প্রবাসী স্বামী মোঃ সালেহ আহমদ। প্রবাস জীবন, জীবনের অর্জিত নগদ অর্থ, স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে এবং স্ত্রীর দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলায় নিস্ব হয়ে এখন মনু নদীর পার্শ্বে এক মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মোঃ সালেহ আহমদ জানান- আমি দীর্ঘ বছর দুবাইতে ছিলাম। বিগত ০৭/০৫/২০১০ইং রেজিঃকৃত নিকাহনামা মূলে একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মজাহিদ মিয়ার কন্যা মোছাঃ নাসরিন আরা মিলি এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ব হই। দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করাকালে স্ত্রীর ছোট ভাই নাজমুল ইসলাম ইমু এর সঙ্গে আমেরিকা প্রবাসী কন্যার সাথে বিবাহকার্য সম্পাদনে আমি প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করি। এর পর আমি আমার কর্মস্থল দুবাই চলে যাই। প্রবাসে যাবার পর তার ওরসে বিগত ০৩/১১/২০১৪ইং, মৌলভীবাজার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে ২ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। শুরু থেকেই পরিবারের যাবতীয় ভরণ-পোষন চালিয়ে যাই। অপরদিকে, আমার স্ত্রী ও তার বাবা মজাহিদ মিয়া আমাকে দুবাই রাষ্ট্রে রেখে আমার অজান্তে মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে পারিবারিক মোকদ্দমা ( নং- ৪৪/২০১৭ইং) দায়ের করেন। মামলাটি আমার অনুপস্থিতে একতরফা ডিগ্রী হাসিল করে। পরবর্তীতে দেশে এসে বিষযটি অবগত হয়ে পারিবারিক জজ আদালতে (ছানী মোকদ্দমা নং- ০২/২০১৯) দায়ের করেন। তার ২ সন্তানকে দেখার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেন। বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাজ চৌধুরী, মোঃ জুনায়েদ, মোঃ জিল্লল ইসলাম, মুনায়েম ও রেবা বেগম জানান- সালেহ আহমদ এর বিদেশে উপার্জিত কোন টাকা দেয়নি। সমস্ত টাকা শশুর বাড়িতে দিয়েছে। জমানো সকল টাকা শশুরালয়ের লোকজন আন্তসাৎ করেছেন। তাদের জন্য অবুঝ ২ শিশুকে দেখতে পারিনি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মোঃ মুজাহিদ মিয়া জানান- সালেহ আহমদ একজন খারাপ প্রকিৃতির লোক। আমার কন্যাকে বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। ৫ লক্ষ টাকা আন্তসাং এর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় একবার খোঁজ খবর পর্যন্ত নেননি। স্ত্রী সন্তানের ভরণ-পোষন চালিয়ে না যাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আদালত আমাদের পক্ষে ডিগ্রী দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন- বাবা-মা উভয়কে মনে রাখা উচিত নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে তাঁরা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী না থাকতে পারেন, তাঁরা কিন্তু বাবা-মা হিসেবে ঠিকই রয়ে যান। নিজেদের রেষারেষি আর জেদের কারণে সন্তান মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সন্তান ভালো থাকুক এটাই তো আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত।