ইয়ানূর রহমান : যশোরের মণিরামপুরে ত্রাণের ৫৪৯ বস্তা চাল আত্মসাতের
মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে কারাগারে
পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার বেলা ১১টার দিকে যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে
বিচারক ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ৪ এপ্রিল খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে যশোরের
মণিরামপুরের উদ্দেশে পাঁচ ট্রাক সরকারি ত্রাণের চাল আসে। যার মধ্যে এক
ট্রাক চাল গোডাউনে লোড না দিয়েই স্থানীয় ভাই ভাই রাইচমিলে পাঠানো হয়। খবর
পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা চাল উদ্ধার এবং মিলমালিক ও
ট্রাকড্রাইভারকে আটক করে। এই চালের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায়
এসআই তপনকুমার সিংহ বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এই ঘটনায় আটক
দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে তারা
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ
কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। তদন্ত শেষে ওই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে
এই চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ৬৪৯ বস্তা চাল ত্রাণের। ওই চাল ভাইস চেয়ারম্যান
উত্তমকুমার চক্রবর্তী বাচ্চু বেশি মুনাফার লোভে কালোবাজারে বিক্রি করে
দেন। যার মূল্য ছিল চার লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রথমে উত্তম চার লাখ টাকা,
পরে আরো ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মণিরামপুর উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের একুব্বর
মোড়লের ছেলে কুদ্দুস, রবিন দাসের ছেলে জগদীশ দাস, তাহেরপুর গ্রামের মৃত
সোলাইমান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম, বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত লুৎফর
রহমানের ছেলে চালকল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও খুলনা দৌলতপুরের
মহেশ্বরপাশা গ্রামের রতন হাওলাদারের ছেলে ট্রাক-চালক ফরিদ হাওলাদার।
পাবিলক প্রসিকিউটর ইদ্রিস আলী জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে মণিরামপুরের
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু আদালতে আত্মসমর্পণ করে
জামিন আবেদন করেন । শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে
পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর কোর্ট পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়।