দীর্ঘ ৪ বছর ধরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে কোন প্রকার কাঁচা-পাকা সড়ক নির্মাণ এমনকি ভেঙে ও ধসে যাওয়া সড়ক সমুহ মেরামত ও সংস্কার করা হচ্ছে না। সে কারণে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইদানিং এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ কাঁকড়া, ট্রলি, পাওয়ার টিলার দিয়ে বালু ,মাটি, ইটসহ বিভিন্ন পর্ণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রী বহন করায় কাঁচা-পাঁকা সড়ক সমুহ বেহাল দশায় পরিণত করেছে। অবৈধ যানবাহনে ভারি মালামাল নিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তাঘাট ও সড়ক কেটে এমনকি ভেঙে এবং ধসে দিয়ে উঠানামা করছে। কাজ শেষ হওয়ার পর দায় সারাভাবে কোন মতে মেরামত করে একস্থান হতে অন্য স্থানে সরে যাচ্ছে তারা। এলাকার অভিজ্ঞ এবং সচেতন মহলের দাবি ভাঙা সড়ক মেরামতের দায় কার! উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে কম বেশি কাঁচা-পাকা সড়কে ইটভাটায় এবং বসত বাড়ি নির্মাণের বালু ও মাটি নিয়ে অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অচল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। সাধারণ যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে উপজেলায় কাঁকড়া গাড়ির ধাক্কায় ৪ জনের প্রাণ গেছে। ঝিনিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, কাঁকড়া গাড়ির বেপরোয়া চলাচলে সুন্দরগঞ্জ- শোভাগঞ্জ ভায়া ঝিনিয়া সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কটি প্রায় ১৫টি স্থানে কেটে এবং ভেঙে দিয়ে আবাদি জমি থেকে বালু ও মাটি নিয়ে উঠানামায় করায় সড়কটি চলাচলের অনুপযুক্ত করে তুলেছে। পাশাপাশি দ্রুতগতিতে চলাচল করার কারণে ধূলাবালি উড়ে পথচারিদের সমস্যার সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন বর্ষাকালের আগে সড়কগুলো মেরামত না করলে আরও ভেঙে যাবে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, দীর্ঘদিন থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় পাকা সড়ক নির্মাণ এবং মোরামত সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। প্রতিবছর সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিন্তু সংস্কার ও মেরামত হচ্ছে না। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, সবেমাত্র তিনি এই উপজেলায় যোগদান করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগযোগ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছু সড়ক নির্মাণের প্রকল্প জমা দেয়া রয়েছে। তিনি বলেন, মহান সংসদে গাইবান্ধা এবং কুড়িগ্রাম জেলায় বিশেষ বরাদ্দের জন্য দাবি জানানো হয়েছে।