মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত (নৌকা মার্কা) প্রতিক নিয়ে মোঃ ফজলুর রহমান দ্বিতীয় বারের মত ১৩ হাজার ৬ শত ৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী (ধানের শীর্ষ) অলিউর রহমান ৩ হাজার ৭ শত ৩৩ ভোট পেয়েছেন। ধানের শীর্ষের প্রার্থী নির্বাচনের একদিন পূর্বে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর ঘোষনা দেন। এরপরও ধানের শীর্ষে ৩ হাজার ৭ শত ৩৩টি ভোট পড়েছে। ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, ১নং ওয়ার্ডে এ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল উট পাখি মার্কায় ১হাজার ৬শত ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী শ্বাশ্বত ব্রহ্ম রনি পাঞ্জাবী মার্কায় পেয়েছেন ৮শত ৪৩ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে আসাদ হোসেন মক্কু উটপাখি মার্কায় ১হাজার ১শত ৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী মোঃ পিন্টু আহমদ পাঞ্জাবী মার্কায় পেয়েছেন ১০৮ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে মোঃ নাহিদ হোসেন টেবিল ল্যাম্প মার্কায় ১হাজার ৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী মোঃ রাসেল আহমদ উটপাখি মার্কায় পেয়েছেন ৮শত ৪৪ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে সালেহ আহমদ পাপ্পু পাঞ্জাবী মার্কায় ৬শত ৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী সুমেশ দাশ টেবিল ল্যাম্প মার্কায় পেয়েছেন ৩শত৭৪ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে ফয়সল আহমদ টেবিল ল্যাম্প মার্কায় ৯শত৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী দেলোয়ার হোসেন পাঞ্জাবী মার্কায় ৯শত ১৪ ভোট পেয়েছেন। ৬নং ওয়ার্ডে মোঃ জালাল আহমদ উটপাখি মার্কায় ৮শত ১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী শামীম আহমদ পাঞ্জাবী মার্কায় ৭শত ১২ ভোট পেয়েছেন। ৭নং ওয়ার্ডে আনিসুজ্জামান (বায়েছ) ফাইল কেভিনেট মার্কায় ১হাজার ৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী সরোয়ার মজুমদার পাঞ্জাবী মার্কায় পেয়েছেন ৯শত ৮০ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে সৈয়দ সেলিম হক উটপাখি মার্কায় ১হাজার ২শত ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী সাজ্জাদ আহমদ টেবিল ল্যাম্প মার্কায় পেয়েছেন ৮শথ ১৬ ভোট। এবং ৯নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মোঃ মাসুদ আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত ৩টি নারী কাউন্সিলর পদে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড নাজমা বেগম আনারস মার্কা নিয়ে ২হাজার ৩শত ২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী শ্যামলী সুত্রধর জবা ফুল মার্কায় ১হাজার ৬শত৬৪ ভোট পেয়েছেন। ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম চশমা মার্কায় ৩হাজার ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী শ্যামলী দাস পুরকায়স্থ আনারস মার্কায় পেয়েছেন ২হাজার ৯৬ ভোট। ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জিম্মি আক্তার,(স্বতন্ত্র প্রার্থী) আনারস মার্কায় ২হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী শিল্পী আক্তার চশমা মার্কায় পেয়েছেন ১হাজার ৮শত ৫০ ভোট। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন করা শুরু হলে ভোটারা শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। মোট ১৮টি ভোট কেন্দ্রে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা সংবাদ পাওয়া যায়নি। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালতের টহল অব্যাহত ছিলো। ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি কিছু থাকলেও সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্র গুলো ভোটার শূন্য হয়ে পড়েছিল। ভোটররা বলেন,মানুষের মধ্যে একটা শঙ্কা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক বেশি তৎপর থাকায় ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের কোন ঘঠনা ঘটেনি । পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলার ২৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলার পদে ১০ জনসহ মোট ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ভোটারদের বিরম্বনা এড়াতে ১৪টি ভোট কেন্দ্র থেকে বাড়িয়ে ১৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়।