গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চার মাস বয়সের শিশু সন্তান নুর হাওয়া আক্তারকে ল্যাট্রিনে ফেলে হত্যা করলেন নিজের মা তানজিনা বেগম।
শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর ধুমাইটারী মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে। আজ রোববার বিকালে পুলিশ অনুন্ধান চালিয়ে মায়ের স্বীকার উক্তি মোতাবেক পাশের বাড়ির আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ল্যাট্রিন থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নুর হাওয়া ওই মহল্লার নুরুল ইসলামের কন্যা। পারিবারিকভাবে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর নুর হাওয়ার মা তানজিনা বেগম তাকে নিজ ঘরে শুয়ে রেখে রান্না ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘরে এসে দেখে তার সন্তান নেই। চিৎকার দিয়ে সন্তান খোঁজাখুঁজি শুরু করে মা’সহ পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, দীর্ঘ ২ বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যাক্তা ২ সন্তানসহ তানজিনাকে বিয়ে করে নুরুল ইসলাম। তানজিনা রংপুর জেলার হারাগাছ উপজেলার সোনাতলা মাঠেরপাড় গ্রামের ইসমাইল হোসেনের কন্যা। তানজিনার পূর্বের স্বামীর ছেলে সন্তানটিকে এতিমখানা রেখে দিয়েছে এবং ৬ বছর বয়সের কন্যা সন্তাটি তার নিকট থাকত। এরই মধ্যে চার মাস আগে নুরুল ইসলামের ঔরশজাত নুর হাওয়ার জন্ম হয়।
নব-নিবার্চিত কাউন্সিলর লাভলু মিয়া জানান, শিশুর মায়ের গতিবিধি ভাল মনে না হওয়ায়, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় থানা পুলিশকে জানানো হয়। থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুর মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে নিজের সন্তানকে জীবন্ত অবস্থায় ল্যাট্রিনে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছেন মর্মে স্বীকার উক্তি দেন। মা তানজিনা জানান, তার মাথায় কাজ করছিল না , সে কারণে তিনি তার সন্তানকে ল্যাট্রিনে ফেলে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ মা তানজিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে ।
এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাবা নিবার্ক হয়ে পরেছে। প্রতিবেশি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, নুরুল ইসলামের একটি মাত্র কন্যা সন্তান। তার সাথে কারও কোন বিরোধ নেই। তিনি বলেন সব মিলে বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দল্লাহিল জামান বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে। এর পিছনে কার হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।