লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত দহগ্রাম ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র পথ তিনবিঘা করিডোর। সেখানে গড়ে উঠেছে চোরাচালান বাণিজ্যের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।সেই সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে চলছে দিনে-রাতে কোটি কোটি টাকার অবৈধ মালামালের কারবার।এজন্য কথিত লাইনম্যানের মাধ্যমে হিস্যা অনুযায়ী বখরা দিতে হয়।নয়তো মাল আটকে দিলে আরও বেশি খরচ হবে নতুবা সিজার।এমন নানারকম ফঁন্দিফিকির করেই ছোট খাটো পুঁটিসহ রাঘোববোয়ালরা চালিয়ে আসছেন তাদের অনৈতিক কারবার।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,এক শ্রেণির দালালের সাথে সেখানকার পুলিশ বিজিবি’র সখ্যতা রয়েছে।
পানবাড়ি তিনবিঘা গুচ্ছগ্রাম বঙ্গেরবাড়ি এবং শেষ সীমানা আঙ্গারপোতা এলাকা ঘুরে বিভিন্নজনের কাছে জানা যায়,একেক জায়গার দায়িত্বে আছেন একেকজন।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে লিজ নেয়ার মত কান্ডকীর্তি! লাইনম্যানের এলাকা ভাগ আছে।
যে এলাকা থেকে ভারতীয় পণ্য অবৈধ মালামাল আসুক না কেন,সেই এলাকার প্রশাসনের লাইন ম্যান ছাড়াও দলিয় নেতা-কমীর্দেরও নজর আনা দিতে হয়।
না দিলে মালামাল গায়েব হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে ভয়ে কেউ কাউকে ফাঁকি দেয়ার চেস্টা করেন না।
অভিযোগ রয়েছে,তিনবিঘা করিডোর পথে দহগ্রাম ফাঁড়ি টু পাটগ্রাম প্রশাসন যেমন নজরদাড়িতে রাখেন তেমন বিজিবি’রও কড়া দৃষ্টি থাকে।তারপরও থেমে নেই অবৈধ কারবার।ভারতীয় গরু,চা-পাতা,চই,ডিস এন্টেনা,শাড়ি,কাপড়,থ্রীপিস,লেহেঙ্গা,সেরেআনি,পাঞ্জাবী এমনকি ভারতীয় কসমেটিক্স এর সাথে সেক্সের ঔষধ ভায়াগ্রাসহ বিভিন্ন আইটেমের নারী পণ্য দেদারছে আসছে।স্থানীয় প্রশাসন গাড়ী চেকিং বা তল্লাসীর নামে মালামালের পরিমাণ ও আইটেম দেখে বখরা ধায্য করেন বলেন জানা গেছে।
দহগ্রামবাসীর সুখ-দুঃখের হাসি কান্নার অজানা সব খবর জানতে মূলতঃ সবার দৃষ্টি থাকে সেদিকে।কোন কোন অসহায় লোকজন ইউনিয়ন থেকে গবাদিপশু বিক্রয়ের স্লীপ পেতে দিনেরপরদিন হয়রানী হলেও কালো টাকার ব্যবসায়ীদের সেই স্লীপ ম্যানেজ করেন এক পলকে।সম্প্রতি প্রশাসনের হাতে লাখ লাখ টাকা অবৈধ পণ্য আটক হলেও বড় বড় চালানগুলো চলে যাচ্ছে ঘুষের বিনিময়ে।এমন দৃশ্য জনগণেই নিয়মিত দেখেন স্বচোখে।ভারতীয় মালামালের অবৈধ কারবার, যাচ্ছে কী,আসছে কী এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শতশত মানুষ স্বীকার করেন দীর্ঘদিন ধরেই এ পথে চলছে চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য।
দেখার কেউ নেই,প্রতিবাদ করার সাহস নেই।
বিজিবি’র পানবাড়ি কোং বিওপিতে সিসিটিভি থাকলেও সেটি কতটুকু বা কার্যকর তা প্রশ্ন থেকেই যায়।
দহগ্রাম থেকে সাধারণ জনগণ কোন কিছু আনতে গেলে কয়েকদফা চেকপোস্টে চেকিং বা তল্লাসীর কবলে পরেন অথচ চোরাচালান গডফাদারদের মালামাল দেখেও দেখেন না প্রশাসন এমন অভিযোগের সত্যতা রয়েছে।
এ বিষয়ে দহগ্রাম চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধান বলেন,আগের মত অবস্থা নেই বললেই চলে।তবে গরু বাদে টুকিটাকি ছোটখাটো কোন মালামাল কেউ নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবি’র হাতে পানবাড়ি এলাকার এক লোক ভারতীয় চকলেট সাম্পাপুরিসহ আটক হয়েছে এমন খবর জানা গেছে। এ ব্যাপারে রংপুর ৫১ বিজিবি’র সিও বা পরিচালক লে,কর্ণেল ইসহাক বলেন,তিনবিঘা একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপথ।সেখানে অনেক ভিআইপিসহ ভ্রমনকারী লোকজন যাতায়াত করেন।সতর্ক দৃষ্টি সিসিটিভি থাকার পরও বিজিবি’র চেক পোস্ট রয়েছে। অনিয়ম হওয়ার কথা নয় এমন দাবী করলেন সিও