পাবনার ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ ১ হাজার ৪৭৭ ভোটে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক। উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ইভিএমের মাধ্যমে ফরিদপুর পৌরসভা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ, বিএনপির এনামুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এমদাদুল হক। শনিবার সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এই পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৬৬৮ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেন ৮ হাজার ৮৬৯ জন। ১২ টি ভোট বাতিল হয়ে যায়। এতে নৌকা মার্কায় ৪ হাজার ৯৯৬, ধানের শীষে ৩ হাজার ৫১৯ ও নারিকেল গাছ মার্কায় ১৪৩ ভোট পড়ে। তবে ভোট গ্রহণের সময় শেষ হলেও ২টি কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন থাকায় ভোটগ্রহণ দেরিতে শেষ হয়। এজন্য মেয়র পদে ফলাফল ঘোষণা করতে রাত ৯ টা বেজে যায়।
দিনভর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইভিএমে ভোট প্রদানের কারণে বয়স্ক ও নিরক্ষর ভোটারদের কিছুটা অসুবিধা হলেও ভোট কেন্দ্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সমস্যা দূর হয়। পৌরসভার একমাত্র গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ভোট গ্রহণের বিষয়ে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোনো প্রকার অভিযোগ ছিল না।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালিয়েছেন। ভোটের দিনেও স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা খুশি হয়েছেন।