রফিকুল ইসলাম সুইট : পাবনায় সরকারি রেজিষ্ট্রিভুক্ত সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরে শালগাড়ীয়ায় কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরেছে ভুক্তভোগীরা। সমিতির অনিয়ম দুর্নীতি নির্যাতনের থেকে প্ররিত্রান এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগকারীদের সাথে নিয়ে তদন্তের দাবি ভুক্তভোগীদের।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়- পাবনা শহরের শালগাড়ীয়ায় অবস্থিত কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির যা মাষ্টার নামে সমিতি নামে পরিচিত। এর মুল দায়িত্বে রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এই সমিতি থেকে সমিতির সদস্য এবং অন্যান্যরা ঋন নিয়ে থাকে। ঋন নেয়ার পর থেকে নেমে আসে বিশাল পরিমানে ঋনের লভ্যাংশ, চক্রবৃদ্ধিহারেসুদ, কিস্তি নিয়ে রশিদ( প্রমান প্রত্র) না দেয়া, ব্রাঙ্ক চেক নিয়ে জিম্বি করে ইচ্ছামত টাকার পরিমান বসিয়ে মামলা দেয়া। কিস্তির টাকা পরিশোধ হওয়ার পর ও চেক ফেরৎ না দেয়া। ডিপিএস এর টাকা ফেরৎ না দেয়া, ডিপিএস এর জমাকৃত টাকা রেজিষ্টারে না ওঠানো, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোর পুর্বক টাকা আদায় সহ ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। সরকারি রেজিষ্ট্রিভুক্ত সমবায় সমিতি কি করে এত অনিয়ম হয় প্রশ্ন অনেকের।
এই সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরেছে ভুক্তভোগীরা।
আফজাল হোসেন নামের একজন ভুক্তভোগী জানান আমি ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম ১ বছরের জন্য এর বিপরিতে ২ লক্ষ টাকা দিয়েও শেষ হয়নি বরং আমার নামে মামলা দিয়েছে এবং সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে টাকায় আদায় করা চেষ্ঠা করছে। আমার জানামতে অনেকেই এদের স্বীকার হয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি।
ভুক্তভোগী আনসুর রহমান জানান- প্রায় ২৬ শ লোকের ঋন দেয়া হয়েছে। এদেরকে সমিতির সদস্য বানিয়ে ঋণ দেয়া হয় এবং সঞ্চয় আদায় করা হয়। আমি ১ লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে সাড় ৩ রক্ষ টাকা দিয়েছি তারপরেও আমার ঋনের টাকা শোধ হয নাই। এর আগেও তদন্ত হয়েছে কিন্ত রহস্যজনককারণে আলোরমুখ দেখে নাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ জানান- এই সমিতি টি গড়ে তোলে বেশ কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা বিষেশ করে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ যার সাথে আমি জড়িত ছিলাম। ২০১৮ সালে আমি হজব্রত পালন করি এবং তখন থেকেই এই সমিতির সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নাই।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান- জেলা অফিসের নির্দেশনায় তদন্ত চলছে। আশাকরি দ্রুত তদন্ত রির্পোট জমা দেয়া হবে। প্রয়োজনে সমিতি বাতিল করে দেয়া হবে।
জেলা সমবায় কর্মকর্তা সোলায়মান বেগ জানান- আমি বেশ কিছু লোকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা অফিসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উপজেলা কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ায় একটু দেরী হয়েছে। তদন্ত রির্পোট পেলেই রির্পোটের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।