প্রকল্পের আওতায় করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভ্যাকসিন কিনতে ৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা খরচ করা হবে এবং বরাদ্দের বাকি অর্থ পর্যায়ক্রমে খরচ হবে।
আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) একনেক সভায় ভ্যাকসিন কেনাসহ মোট ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরে-বাংলা নগরে মন্ত্রিসভা কমিটি পরিষদ (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পরিকল্পনা কমিশনকে অবগত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে, ঠিক কোন দেশ থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে তা এখনো জানা যায়নি।
এর আগে, সোমবার (৪ জানুয়ারি) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন (ইইউএ) দেন।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক গতকাল (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন (ইইউএ) দিয়েছেন।
এদিকে, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের পর সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি বাংলাদেশে ব্যবহারের আর কোনো বাধা থাকছে না। ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের টিকা সরবরাহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, চুক্তি মোতাবেক এখন সেরাম ইনস্টিটিউটকে ধাপে ধাপে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে হবে।