দোযখ অধিবাসী


এনামুল হক টগর

কে তুমি স্বচ্ছ নূরে হে অদৃশ্য আত্মা?
কে তুমি হে পরম এই মাটির গৃহে বসবাস করো মানব সত্তা?
এই ঘরের সিংহাসনেতো,এক অনাদি অনন্ত মহারাজারই বাস!
জগত মৃত্তিকার গহীনেতো শুধু তাঁরই আভরণ জ্যোতি অশেষ!
কতো অরণ্য প্রকৃতির শস্যক্ষেত্র সাগর ও নদীর প্রতিচ্ছবি বিশেষ।
মানব অন্তরের ভেতরে তুমি এক মহাবাদশা বেশে মহা-পরমাত্মা!
জীবন উদ্যানের কুঞ্জবিথীকা জুড়ে শুধু তোমারই চাষাবাদ জ্ঞানের সত্তা!
তুমিই যুক্তি তুমিই দর্শন তুমিই কল্যাণ তুমিই সেবা দাও ফসলের আবাদ।
তুমিই কঠোর তুমিই কঠিন তুমিই নির্মম ও নিষ্ঠুর পাপে রক্তপাত করাও বিষাদ!
তুমিই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আক্রমণ
ও শান্তির প্রতীক,
তুমিই ন্যায়-পরায়ণে আহ্বানকারী সঠিক!
তুমিই জান্নাত,তুমিই দোযখের নিপুণ
নির্মাতা ও প্রজ্ঞাময় বিজ্ঞান!
তোমার ইচ্ছার পরীক্ষাতেই যদি আমাকে দোযখ অধিবাসী করো,
তারপরও তোমার নির্দেশ মানাই আমার কর্তব্য সংসার।
কিন্তু তোমার ইচ্ছার প্রেম দয়া ও করুণার
ভালোবাসা থেকে,
আমাকে নবীর রহমত আর অনন্ত শান্তির সুধা পান করাও প্রেমের বিবেক!
আমি যেন পরিশুদ্ধ ও সন্তোষ্টচিত্তের
দাসের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হই কাণ্ডার!
এক সুশান্ত ও প্রশান্ত মিলন মহা-আত্মার!
আমি যেন দোযখ থেকেই সর্বক্ষণ তোমার অন্বেষণ করতে পারি গভীর প্রেমে বিভোর, আত্মার মনোযোগ ও একগ্রচিত্তে সালাত স্মরণ সংস্কার!
কারণ নরক ও দোযখ জানে তোমার
প্রশান্ত দাসের অন্তরেই হেদায়েতের পরিপূর্ণ ও মহাশান্তির স্বচ্ছ নূর !
জাহান্নাম ও নরকাগ্নি তোমার পরিপূর্ণ দাসকে,
কখনোই স্পর্শ করতে পারে না বরং স্থির হয়ে যায় শীতল ঠাণ্ডা অবাক।
যদি স্পর্শ করে তবে দোযখ বা নরকও হয়ে যায় জান্নাত!
যা মহা-স্বর্গের মহা-শান্তিতে ভরপুর জীবন অক্ষয় অন