নাটোর প্রতিনিধি
এখন পৌষ মাস। আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে কৃষি প্রধান চলনবিল অঞ্চলে ইরি-বোরো ধান রোপনের ভরা মৌসুম। ধান রোপনের ঠিক এই আগমুর্হুতেই জমি প্রস্তুত করতে গিয়ে কচুরী পানা পরিস্কার নিয়ে কৃষক পড়েছেন বিপাকে।
চলতি বছরে বন্যা বড় হওয়ায় চলনবিলের এই মাঠের আবাদী জমিতে কচুরী পানার স্তুপ জমে যায়। কোন কোন মাঠের অবস্থা এমনই যে যতদুর চোখ যায় শুধু কচুরী পানা আর কচুরী পানা। কৃষকরা বলছেন এই কচুরী পানার স্তুপে প্রথমে তারা আগাছানাশক ¯েপ্র করছেন। এর পর রোদে শুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলছেন।
এতে তাদের প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। ফলে আগামী রোরো আবাদে এই অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে তাদের। তাতে ভুক্তভোগী ওই কৃষকরা আগামী মৌসুমে বোরো আবাদে লাভের চেয়ে লোকসানের আশংকা করছেন।
সরেজমিনে চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া, ইটালী ও চৌগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আয়েশ গ্রামের কৃষক মোজাফফর হোসেন বলেন, আমার ৮ বিঘা জমির মধ্যে ৬ বিঘা জমিতেই কচুরী পানার স্তুপ জমে আছে। প্রথমে আগাছানাশক ¯েপ্র করেছি। এর পর রোদে শুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলছি।
ইটালীর বিষ্ণপুর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, এই কচুরী পানা পরিস্কার করতে সব মিলে প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। এবারের ইরি আবাদে এই খরচ হবে অতিরিক্ত খরচ। তাই খরচ বাদে লাভের মুখ দেখতে পারবো কিনা আশংকায় আছি।
চৌগ্রামের কৃষক আলতাফ মোল্লা বলেন, কোন বছরই এই কচুরী পানার এত বড় ঝামেলা হয় না। এবছর বন্যা বড় হওয়ায় কচুরী পানার বড় বড় বাতান এসে জমিতে আটকে যায়। বর্ষার ওই সময় অনেক চেষ্ঠা করেছি এই বিশাল কচুরী পানার বাতান অপসারণ করতে পারি নাই। এখন আবাদের সময় তাই বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত শ্রমিক খরচ দিয়ে জমি পরিস্কার করছি।