অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইনের দুর্নীতি প্রমাণিত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাধীন অর্ধ শতাব্দীর বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপিঠ মাওলানা:এ.টি.এম .ওলিউর রহমান (রহ.) কর্তৃক  প্রতিষ্ঠিত এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা (কোড নাম্বার ১৩০২১০), ইসলামাবাদ, বিশ্বনাথ, সিলেট। মাদরাসা রক্ষায় অধ্যক্ষ আবু তাহির মো: হুসাইনের অপসারণ দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী । অধ্যক্ষের দুর্নীতির চিত্র তুলে গত ২০ অক্টোবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেয়া হয়। যার স্বারক নাম্বার ৩৭২। সেই সাথে গত ১৩ ডিসেম্বর সিলেট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অনুলিপিও দেয়া হয়েছে। যার স্বারক নাম্বার -১৭৬২ আবেদনে উল্লেখ করা হয় , অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হুসাইন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে সুনামধন্য এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রসায় দুর্নীতি , স্বজনপ্রতি , মাদ্রাসার হিসাবে গড়মিল , লুটপাট , নিয়োগ বাণিজ্য , প্রতিষ্ঠাতা পরিবারকে মামলা হামলা , শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি ও নামে বেনামে চাঁদাবাজি করে মাদ্রাসাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার মহোতসব চালিয়ে যাচ্ছেন । শুধু তাই নয় , কথা বললে এলাকার অনেক জনগনও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেন । এছাড়া চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি গভর্ণিং বডির সভাপতি মারা যান । আর এই শূন্য পদে এমপির সুপারিশ না নিয়ে ও সভাপতির মৃত্যু সনদ ছাড়াই তার মনোনীত ব্যক্তিকে সভাপতি পদে আনতে হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হুসাইনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় । ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার দুর্নীতির তদন্ত করে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি অধ্যক্ষের দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যায় মর্মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা । চলতি বছরের ১১ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত পৃথক আরও দুটি অভিযোগ তদন্ত করে গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই তদন্তেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা । তাই দুর্নীতিবাজ এই অধ্যক্ষকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে মাদ্রাসাটিকে রক্ষার দাবি জানান অভিযোগ প্রদানকারীরা । আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে মাদ্রাসার আয় – ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে অর্থ আত্মসাত করে চলেছেন , তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এমপিও ভূক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হয়েও একই সাথে বিধি বহির্ভূতভাবে স্থানীয় ইউনিয়নের কাজী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবার ও এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিদের হয়রানী করার জন্য উদ্দেশ্য মুলক মিথ্যা মামলা করেন। কিন্তু  পরবর্তীতে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ স্বরজমিনে তদন্ত করলে অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমানিত হয়। আর অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় -.মাদরাসার শিক্ষক মন্ডলী , প্রতিষ্ঠাতা পরিবার এবং এলাকাবাসী গন্য মান্য ব্যক্তিদের ক্ষতি সাধনের জন্য বিশেষ করে মাদরাসার ক্ষতি সাধনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে দুর্নীতিবাজ আবুতাহির মোহাম্মদ হোসাইন ।  সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এমপি মোকাব্বির খান অত্র নির্বাচনী এলাকার একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তার চিরাচরিত বৈশিষ্ট এর অংশ হিসেবে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিদর্শন ও সার্বিক বিষয়ে তার দিক নির্দেশনা মুলক পরামর্শে প্রতিষ্ঠানি জ্ঞানের আলো বিতরন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে একজন আপোষহীন নেতা হিসেবে মাদরাসার দুর্নীতির বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান  বরাবরের মতই। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাদরাসার একজন অভিভাবক হিসেবে মাদরাসার সার্বিক বিষয়ে এম.পি মহোদয়কে অবহিত করেন। যার কারণে তিনিও দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দুর্নীতির বিরূদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেন।হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গঁবন্ধু তনায়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেখানে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেনস এর নির্দেশ; সেখানে ৫০ বৎসরের একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে তদন্তে প্রমানীত দুর্নীতিগ্রস্ত ও অর্থ আত্মসাৎকারী তথাকতিত আলিম নামধারী আবুতাহির মোহাম্মদ হোসাইন কিভাবে স্বপদে বহাল থেকে এবং সরকারী নির্দশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খাজানসী ইউনিয়নের কাজী সহ দু,টি সরকারী  পদে আছে সেটা এলাকাবাসীর প্রশ্ন ?অত এব এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে অধ্যক্ষের কড়াল থাবা থেকে মুক্ত দেখতে চায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসী চায় প্রতিষ্ঠানটি আবার যেন ফিরে পায় তার পুরোনো ঐতিহ্য। প্রতিষ্ঠানটি যেন মুক্ত হয় সকল দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে। বর্তমান অধ্যক্ষ দুর্নীতি থেকে মাদরাসাকে মুক্ত করে মাদরাসাকে তার সমহিমায় ফিরিয়ে দেওয়ার সকল কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেতে প্রসাশনের হস্তক্ষেপে কামনা করেন এলাকাবাসী। Attachments area