কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলা সদরে মিথ্যা বিয়ের কাবিন তৈরি করে কলেজ ছাত্রের পরিবারকে জোর পূর্বক অর্থ আদায় ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে । লিখিত অভিযোগ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলার প্রভাবশালী পরিবারের ছত্র ছায়ায় থাকা বাহার উদ্দিন (চন্দন), সবুজ, ফারুক, ও হাদিস মিয়া গংয়েরা বেরণতলা এলাকার গরু চোর মামলার আসামী মতি, তফুর উদ্দিন, জয়তুন,রতনদের নিয়ে গত ২৪/০৯/২০১৯ইং তারিখ বিকেলে বেরণতলা গ্রাম থেকে তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রবিউল আলম (১৭) ও তার পিতা আবু সালেককে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায় তাড়াইল বাজার ব্যাংক এশিয়ার পাশে চন্দনের ঘরে ঐখানে ১ শত টাকার ২টি খালি স্ট্যাম্পে পিতা পুত্রের স্বাক্ষর নেয় হাদিস উদ্দিন গংরা এবং তাড়াইলের কাজী আবুল হাশেমকে দিয়ে ভূয়া জাল একটি কাবিন তৈরি করে উক্ত কাবিনে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ঐ চক্রটি উক্ত ঘটনার পর থেকে তাড়াইলের প্রভাবশালী মহলে নিয়ন্ত্রিত লোকজনদের নিয়ে ছেলের পিতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা করে চলছে। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে জানা যায়, রবিউল আলম তাড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সনে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করে এবং সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ ০১/১০/২০০২ ও তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়ন বহি নং-৮,জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার- ২০০২৪৮৩৯২৯৪১১১০১৩ তে তার বয়স ১৭ বছর ১ মাস ৬ দিন অথচ তাড়াইলের প্রভাবশালী মহল ছেলের স্বাক্ষর ও পিতার স্বাক্ষর জাল করে নিকাহনামা ও জন্ম নিবন্ধন তৈরী করে ০১/০৭/১৯৯৭ জন্ম তারিখ দেখিয়েছে।উক্ত ঘটনায় দায়িত্বরত কাজী আবুল হাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে মেয়ের পরিবারের লোকজন জন্ম নিবন্ধন দিয়েছে। তা দিয়ে আমি এ কাগজ দিয়ে কাবিননামা তৈরী করেছি। বিষয়টি নিয়ে তাড়াইল থানায় যোগাযোগ হলে দায়িত্বরত অফিসার আনিছুর আশিকীন জানান আমার তদন্তে রবিউল আলম ও তার পিতা আবু সালেক উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত নয় । এলাকায় একটি কুচক্রি মহল প্রভাবশালীদের নিয়ে মিথ্যা এ ঘটনা সাজিয়েছে। ভুক্তভোগী আবু সালেকের পরিবার জানান, মিথ্যা ও জাল কাবিন নামা তৈরী করার দায়ে ৮ জনকে আসামী করে। কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-০৬, গত ২০/০১/২০২০ ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় হাদিস উদ্দিন নামে ১ জন আসামী হাজতে রয়েছে। দায়েরকৃত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। তাই গত ০১/১২/২০২০ ইং তারিখে তাড়াইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। ডায়েরি নং-৩০ । উল্লেখ্য যে, এক সময়ের ঢাকা মিরপুর তিন নাম্বারের সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য জয়তুন ওরফে হলুদের বিরোদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি আবু সালেক ।