আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে কফি অনেক জনপ্রিয় একটি পানীয়। কফিকে বিভিন্ন ভাবে পান করা যায়। কেউ বা পছন্দ করেন ব্ল্যাক, কেউবা ক্যাপাচিনো, আবার কেউবা কোল্ড কফি হিসেবে।
কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়; ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়; মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে; খেলাধুলায় মনোযোগী করে তোলার পাশাপাশি আরো নানা ধরনের উপকার করে থাকে। শুধু পানীয় হিসেবেই নয় কফির আরো ব্যাবহার রয়েছে। যেমন ত্বকের জন্যই এর নানবিধ ব্যাবহার লক্ষণীয়।
ত্বককে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করতে কফি অনেক কার্যকরী; যে কোন ধরনেই কফি দিয়েই তা এই কাজ টি করা সম্ভব। প্রধানত দুই পদ্ধতিতে কফি কে চেহারায় ব্যাবহার করা যেতে পারে।
পদ্ধতি ১: এক চামচ কফি পাউডারের সাথে হাফ চামচ পানি (পানির পরিবর্তে তরল দুধ ব্যাবহার করা যেতে পারে) দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। মিশ্রণটি অন্তত পাঁচ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর কুশুম গরম পানি দিয়ে মুখটিকে ধুয়ে নিতে হবে।
পদ্ধতি ২: এ পদ্ধতিটি যাদের মুখের ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ তাদের জন্য অনেক বেশি কার্যকর।
এক চামচ কফি পাউডার, এক চামচ দানাদার চিনি, হাফ চামচ তরল দুধ এবং এক স্লাইস লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নীটে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণটি জেনো খুব বেশী পাতলা হয়ে না যায়; যদি খুব বেশী পাতলা হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই অল্প করে কফি পাউডার যোগ করতে হবে। মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত মুখে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে।
তবে অবশ্যই ভালো ফলাফলের জন্য স্ক্রাব গুলো সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার ব্যাবহার করতে হবে। আর অবশ্যই ত্বকের যত্নে স্ক্রাবের মত কাজ গুলো রাতেই কোড়া ভালো, অতঃপর মুখের উপযুক্ত কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।