গোতামারী ইউনিয়নে মাদক মুক্ত করতে যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে – চেয়ারম্যান সাবু মিয়া।

আর যদি এক বোতল মাদক যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই জেলখানায় পাঠানো হবে। এমন কথা বললেন লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া গোতামরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাবু মিয়া। তিনি বলেন, শুধু মাদক নয় বাল্যবিবাহ,নারী নির্যাতন,ধর্ষনসহ যে কোন অপরাধে যারা জড়িয়ে পড়বে তাদেরকে কোন ক্রমেই ছাড় দেয়া হবে না। গত শুক্রবার দৈখাওয়া সীমান্ত বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’র পরিষদে এক আলোচনা সভ্য়া তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,এসব অপরাধ দমনের জন্য পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ১ থেকে ৯টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের সকল প্রকার অপরাধ দমনের জন্য বলা হয়েছে। ইতি মধ্যে এই ইউনিয়নে গরীব অসহায়দের মাঝে ভাতা,ত্রাণসহ যত সব সুবিধা সরকারী ভাবে আসছে তা বিতরণ করা হচ্ছে। গোতামারী ইউনিয়নে যেন কোন মানুষ না খেয়ে থাকে সেজন্য খোজ খবর অব্যহত রয়েছে। গৃহহীনদের জন্য সরকারী ভাবে তালিকা প্রণয়ন করে ঘড় নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। গুচ্ছগ্রামে যাতায়াতের সুবিধা করা হয়েছে। বিদুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী তদারকি করছে। রাস্তা-ঘাট নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে চলছেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে ঈদগাহ মাঠ,খেলার মাঠ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গরীব মেয়েদের বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি গরীব মেধাবি শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাধিক সহযোগিতা পরিষদ থেকে করা হচ্ছে। সড়েজমিনে লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বিগত বারের ন্যায় এবারে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাবু মিয়া এই ইউনিয়নের উন্নয়ন করায় জনসমর্থন আরো দ্ধিগুন বেড়েছে। এবারে নির্বাচিত হওয়া তার নিশ্চিত। এব্যাপারে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাবু মিয়া বলেন, গোতামারী ইউনিয়নের উন্নয়নের বিষয়ে জনগনই নির্ধারণ করবেন। আমি শুধু জনসাধারনের জন্য একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং করবো। এবারে জনগন আমাকে নির্বাচিত করলে গোতামারী ইউনিয়নের কোন কাজ অসমাপ্ত থাকবে না আল্লাহর রহমতে। এজন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন তিনি।