তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ঠিকমত না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে থাকায়, কর্মরত ডাক্তার কর্মস্থলে না থেকে ডায়াগনস্টিট সেন্টারের রোগী দেখা এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের কর্ম বিরতির কারণে হাসপাতালের চেন অফ কমান্ড ভেঙ্গে পরেছে। ফলে আগত রোগীরা প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্জিত হচ্ছে। অপরদিকে স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের চলছে কর্ম বিরতি। শিশু টিকা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। ফলে শিশুরা ঝুকির মধ্যে পরার আশংকা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে ও সরেজমিনে জানাগেছে, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউট ডোরে ১ জন এবং ভর্তি রোগীদের দেখভাল ১ জন ডাক্তার ও একজন স্যাকমোকে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত টিএইচও ডাঃ রুমন খান যমুনা প্যাথলোজিতে বসে রোগী দেখছেন। ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক ও স্যাকমো বিউটি খাতুন আউটডোরে রোগী ভির সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন। অপর দিকে ডাঃ নুসরাত জাহান ৩য় তলায় ভর্তিকৃত রোগীদের একাই দেখাশোনা করছেন।জানাগেল ডাঃ আমান উল্লাহ অফিসের কাজে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে । এদিকে আউট ডোরে সেবা নিতে আসা প্রায় শতাধিক রোগী ৩টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ডাক্তারদের রুমে রুমে দৌড়াচ্ছেন। কে দেবে সেবা।
জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী লিলুফা ইয়াসমিন বলেন, বর্তমানে ডাক্তার নেই। তবে আপনি রোগী নিয়ে আসলে ডাঃ রুমন খানকে ফোন করে নিয়ে আসতে পারব। সরকার ডাায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিনা জানান, কিছুক্ষন আগে ডাক্তার রুমন খান এখানে রোগী দেখেছেন। কিন্তু এখন নেই। চলনবিল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সাবিনা জানান, আপনি রোগী নিয়ে আসেন আমি ডাঃ রুমন খান স্যারকে ফোন করলে তিনি এখনি আসবেন।
খোজ নিয়ে জানা গেল, ডাঃ রুমন খান তাড়াশের সব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। যে সময় তার আউটডোরে বসে সাধারন রোগী দেখার কথা ঠিক সেই সময় তিনি সরকার এবং পরে যমুনা প্যাথলোজিতে বসে রোগী দেখছেন। তাকে অফিস চলাকালিন সময়ে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখতে দেখা গেছে। আর সেবা থেকে বঞ্জিত হচ্ছেন সাধারন রোগীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেস সেবা নিতে আসা রোগী সাবিনা জানান, টিকিট কেটে বসে আছি প্রায় ১ঘন্টা ধরে কোন ডাক্তার নেই। এমনি ভাবে অনেকেই অভিযোগ করেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে রেজাউল, সোহেল ও আকলিমা বলেন হাসপাতালে ঠিকমত ডাক্তার থাকে না। অথচ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গেলে ডাক্তার না থাকলেও ফোন করলেই ৫ মিনিটের মধ্যে পাওয়া যায়। অপরদিকে স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের চলছে কর্ম বিরতি। টিকা নিতে এসে সব শিশু ফিরে গেছে। টিকার ডোজ ঠিকমত না পেলে শিশুরা ঝুকির মধ্যে পরার আশংকা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।
ডাঃ রুমন খান কে অফিস সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী না দেখে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাস্তা করতে এসেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ জামাল মিয়া বলেন, আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে আছি। আমার দায়িত্ব ডাঃ রুমন খানের উপর দিয়ে এসেছি। তারপরও যদি এমন হয় তাহলে বিষয়টি উধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন আমি এখনি দেখছি।