আবদুল জব্বার / সৌমিত জামান, ঈশ^রদী থেকে
বিশ্বের শ্রদ্ধা -বাঙালির গৌরব জাতির জনকত বঙ্গবন্ধু ১০০ জন্মোৎসব শীর্ষক দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা গতকাল শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধন করা হয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চরগড়গড়িতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
ওসাকার সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পাঠাগার ও চরনিকেতন কাব্য মঞ্চ। সন্ধ্যায় জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ মোহাম্মদ
নুরুল হুদা এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যতদূর বাংলা ভাষা, ততোদূর বাংলাদেশ। জাতীর পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনন্তকাল ইতিহাসের অমরকীর্তি। খুনি জিয়া- মোস্তাকসহ যে সকল কুলাঙ্গারেরা জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে ইতিহাসে তারা অনন্তকালই নিন্দিত ও ঘৃণিত। জাতির পিতার হত্যাকারীদের ফাঁসি এবং এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিরোধীতাকারী রাজাকার আলবদর আলশামসদের বিচার করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় দায় মুক্তি দিয়ে আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম স্বর্ণাক্ষরে নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা
অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
ওসাকার নির্বাহী পরিচালক কবি ড. মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদ এর প্রধান সমন্বয়ক, জাতীয় নজরুল ইন্সটিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক কবি
আসলাম সানি, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি
স্বপন কুমার কুন্ডু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেন, ঈশ্বরদী পৌর
মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তানভীর
ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, জেলা যুবলীগের
আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি, যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিকসহ নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ সুধীজনেরা এ সময়
উপস্থিত ছিলেন। আলোচকবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ১০০ জন্মোৎসব উপলক্ষে মুজিবাব্দ বর্ষ
ঘোষনার দাবী জানান। দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, উদ্বোধনী পর্ব, শ্রদ্ধার্ঘ্য, আলোচনা সভা, সেমিনার, ছড়া ও কবিতা
আবৃত্তি এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় সকল গণতান্ত্রিকআন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মরনে এক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে অনুষ্ঠান ঘিরে প্রকাশনা শুভনীড় মুজিববর্ষে উন্নয়ন স্পর্শে শীর্ষক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।