স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার আটঘরিয়ায় চেক জালিয়াতি মামলায় ৬১নং সড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইচ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। পাবনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত-০২ গত ১২ নভেম্বর উক্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
বিবরণে জানা যায়,পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ৬১নং সড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত বাবদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পায়। বরাদ্দকৃত টাকার ব্যয় সংক্রান্ত মিটিং না করে সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের থেকে ব্যাংক চেকে অগ্রীম স্বাক্ষর চাইলে সভাপতি মিটিং করে স্বাক্ষর প্রদান করবেন বলে প্রধান শিক্ষক মোঃ রইচ উদ্দিনকে জানান। তখন উক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রইচ উদ্দিন কৌশলে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি ভাঙ্গার ষড়যন্তে লিপ্ত হন এবং সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ৪টি পত্র তৈরি করে কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার প্রস্তাব শিক্ষা কমিটিতে জমা দেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে কমিটির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান আদালতে উক্ত প্রধান শিক্ষক তাঁর স্বাক্ষর জাল করেছেন মর্মে পাবনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত-০২ এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৮/২০১৯(আট) সিআর ৫৮/২০।
উক্ত মামলার প্রধান বিবাদী করা হয় প্রধান শিক্ষক মোঃ রইচ উদ্দিনকে। ২নং বিবাদী মোঃ আনোয়ার হোসেন, তৎকালীন সহকারি শিক্ষা অফিসার, আটঘরিয়া এবং ৩নং বিবাদী সিরাজুম মুনিরা, তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করেন এবং সভাপতির স্বাক্ষর হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট করার জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি, ঢাকায় প্রেরণ করেন। সেখানে পুলিশ পরিদর্শক ও হস্তলিপি বিশারদ বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি উক্ত স্বাক্ষর ‘অমিল’ পাওয়া যায় মর্মে প্রতিবেদন দেন।
মোঃ রইচ উদ্দিন প্রতারনা করার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও সভাপতির স্বাক্ষর করে উক্ত বিদ্যালয়ের যৌথ হিসাব স্বাক্ষরের সোনালী ব্যাংক, আটঘরিয়া শাখায় পাওনা বাবদ টাকা জমা প্রদান পত্রে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অনুরোধ করে প্রধান শিক্ষক নিজেই সভাপতির পরিচয় দিয়ে নিজেই জাল স্বাক্ষর প্রতারণা ও জালিয়াতি করায় পেনাল কোডের ৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয় মর্মে পিআইবি আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। এরইপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গত ১২ নভেম্বরে উক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রইচ উদ্দিনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, আমি গত ১৮ নভেম্বর আদালতের একটি ওয়ারেন্ট হাতে পেয়েছি। তিনি আরও বলেন আদালতের ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী মো. রইচ উদ্দিনকে গ্রেফতাররে জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি এখন পালাতক রয়েছে। তবে যেকোন সময় তাকে গ্রেফতার করা করা হবে বলে তিনি জানান।