মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ অন্ধকারে রয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলার ৪ নং শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামের ৫টি পরিবার। প্রায় বছর খানেক আগে বিদ্যুৎ এর খুটি ও ড্রপ লাইন টানা হলেও স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কারনে রেলওয়ের লীজ প্রাপ্ত ভূমির মালিক আব্দুর রৌপ, ইদ্রিছ আলী, বশির আলী, হাফিজ মিয়াগংদের বাড়ীতে মিটার ও লাইন সংযোগ দিচ্ছেনা কমলগঞ্জ পল্লীবিদ্যুত অফিস। ভোগান্তিতে পরেছেন শিক্ষার্থীরা। কুপি বাতি জ্বালিয়ে অথবা অন্যের বাড়িতে গিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে তাদের। এক দশক আগেও বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করতে হতো দেশের মানুষকে। গ্রাহকদের সঙ্গে বিদ্যুৎ যেন লুকোচুরি খেলত। প্রতি ঘণ্টা পর পর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় গ্রাহকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। সে সময় বিদ্যুৎ সংকটের কারণে শুধু যে নাগরিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা নয়, থমকে গিয়েছিল কলকারখানার উৎপাদনও। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে বিশাল ঘাটতির কারণেই এমনটি হয়েছিল। কিন্তু এক দশক পর ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ স্লোগানে উজ্জীবিত বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা বিদ্যুৎ খাতের গোটা দৃশ্যপট একেবারে বদলে দিয়েছে। এখন শুধু শহরাঞ্চলই নয়, বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদও। বিদ্যুতের জাদুর ছোঁয়ায় চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি।