সঞ্জু রায়, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে এক চাকুরীজীবি ব্যক্তির সারামাসের রোজগার প্রায় ৩৩ হাজার টাকা ভুল করে বিকাশের মাধ্যমে বগুড়ার এক ব্যক্তিকে পাঠানোর পরে রবিবার রাতে অভিযোগ প্রাপ্তির পর প্রায় ৮ ঘন্টার তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এবং প্রত্যেক্ষ অভিযানে সর্ম্পূণ টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফেরত দিয়েছে বগুড়া সদর থানা এবং ধুনট থানা পুলিশের সদস্যরা।
বগুড়া সদর থানা সূত্রে জানা যায়, ঢাকার এক চাকুরীজীবি ব্যক্তি রাসেল সারামাসের রোজগার প্রায় ৩৩ হাজার ৬’শ ৭৫ টাকা তার পরিবারের নিকট পাঠাতে গিয়ে বিকাশ লেনদেন বিড়ম্বনায় ভুলে চলে আসে বগুড়ার এক ব্যক্তির বিকাশ পার্সোনাল নাম্বারে। টাকা ঢোকার পর একবার সেই ব্যক্তির সাথে কথা হলেও তারপর থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে সেই মোবাইল। অসহায় হয়ে পরিবারের চিন্তায় হতাশ হয়ে বগুড়ার এক স্থানীয় ব্যক্তির সহযোগিতায় বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগী রাসেল। তৎক্ষনাৎ এই দুই কর্মকর্তার নির্দেশনায় এবং ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিকাশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সকল সমস্যা সমাধানে সফল এক কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এস.আই সোহেল রানা খুব দ্রুততম সময়ের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে বের করে ফেলেন যাবতীয় সকল তথ্যাদি এবং সোহেল রানা দেখেন টাকাটি ধুনট থানার অন্তগর্ত চৌকিবাড়ি সুশান্ত নামের এক ব্যক্তির বিকাশ নম্বরে রয়েছে এখনো যা ক্যাশআউট করা হয়নি। টাকা উদ্ধারে আশার আলো দেখে সদর থানা পুলিশ তৎক্ষনাৎ বিষয়টি ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্ধু বালা কে অবহিত করেন এবং তার নির্দেশনায় সেই রাত্রিতেই টাকা পাওয়া সেই ব্যক্তি সুশান্তের বাড়ি খুঁজে বের করে অভিযান চালায় ধুনট থানার এস.আই প্রদীপ। পরে জানা যায় টাকা পাওয়া সেই ব্যক্তিও নি¤œবিত্ত পরিবারের এবং অশিক্ষিত। বিকাশ এ্যাকাউন্ট থাকলেও পাসওয়ার্ড তার জানা ছিল না তাই টাকাও বের করতে পারেনি মর্মে সেই সময় পুলিশকে জানায় সেই সুশান্ত। পরবর্তীতে সোমবার টাকার প্রকৃত মালিক কে পুনরায় নিশ্চিত করে সরাসরি তার কাছে ধুনট থানা থেকেই বগুড়া সদর ওসি হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে বিকাশে সম্পূূর্ণ টাকা ফেরত পাঠিয়ে অসহায় একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বগুড়ার এই পুলিশ সদস্যরা।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, বিকাশ বিড়ম্বনায় বগুড়ায় ভুলে চলে আসা প্রায় ৩৩ হাজার টাকার প্রকৃত মালিক তার সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বগুড়া জেলা পুলিশ পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি বিকাশ কিংবা যেকোন অনলাইন বা মোবাইল ব্যাংকিং এ টাকা লেনদেন বিষয়ে সকলকে আরো বেশী সচেতনতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন এইরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে যা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।