শীতে ইউরোপ সহ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ কার্যক্রম চালু হয়েছে। যদিও এ ঘোষণার বাস্তবায়ন সর্বত্র পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল সোমবার শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সাধারণ জনগণকে মাস্ক পরিয়ে দিলেন। এ সময় ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন। জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমনের শুরু থেকেই ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল পৌর এলাকায় নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শহরের প্রবেশ পথে জীবানুনাশক ট্যানেল স্থাপন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, নিয়মিত শহরের প্রধান সড়কে জীবাণুনাশক স্প্রে করা, করোনা সংক্রমনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ৫ হাজার পরিবারকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা, পৌর বাসিন্দাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিতরণ করা, ভাঙ্গুড়ার বাহির থেকে আসা প্রতিটি মানুষকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন ভাঙ্গুড়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা। এছাড়া তিনি নিজে হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন মহল্লায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা চালিয়েছেন। পৌরমেয়রের এমন উদ্যোগের কারণে ভাঙ্গুড়ায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তির শরীরেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। এ অবস্থায় শীতকালীন সময় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন ভাঙ্গুড়ার মেয়র। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মানুষের মুখে নিজে হাতে মাস্ক পরিয়ে দেন মেয়র। এ সময় তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। এরই মধ্যে করোনার ভীতি উপেক্ষা করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের পিতা পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম আলী বলেন, করোনা সংক্রমনের বিস্তার রোধে ভাঙ্গুড়ার মেয়র গত নয় মাস ধরে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ কারণে সারাদেশের চেয়ে ভাঙ্গুড়ায় সংক্রমণের হার অনেক কম। এখন শীতের প্রকোপের কারণে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। তাই সকল মানুষকে সচেতন করতে হবে। এজন্য মেয়র গোলাম হাসানের রাসেলের মত সকল জনপ্রতিনিধিকে এগিয়ে আসতে হবে। মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, নিজের জীবনের মায়া কখনো করিনি। পৌরবাসীকে ভালো রাখতে প্রতিনিয়ত মানুষের মাঝে ছুটে বেড়িয়েছে। সব সময় চেয়েছি সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মুক্ত থাকুক এবং অন্যদেরকেও সুস্থ থাকার সুযোগ দিক। গত নয় মাসে করোনা সংক্রমণ রোধে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। সাধারণ জনগণ এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সর্বদা সহযোগিতা করেছে। তাই করোনার মহামারীতে ভাঙ্গুড়ার অবস্থা এখনো অনেক ভালো। চেষ্টা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করে জনগণকে আরো ভালো রাখার।