ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে সরবরাহ করা সম্ভব হলে পরবর্তী শীত নাগাদ জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ ঔষধ কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে জার্মান বায়োটেক যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে তার সহ প্রতিষ্ঠাতা তুরস্কের ইগুর শাহীন রবিবার বৃটিশ টেলিভিশনকে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক মতো চললে চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের প্রথম দিকে আমরা ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করতে পারবো।
শাহীন বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করা। তিনি আশা করেন, গ্রীস্মে সংক্রমণ কমবে। তবে শরৎ নাগাদ ব্যাপকহারে টিকা গ্রহণ করতে হবে।
শাহীন বলেন, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টিকাদান কোম্পানি সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে। সুতরাং আগামী বছর আমরা একটি স্বাভাবিক শীতকাল পেতে পারি।
শাহীন ও তার স্ত্রী ওজলেম তুরেসি জার্মানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নগরী মায়েঞ্জে ২০০৮ সালে বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানীটি মার্চ মাসে আমেরিকান ঔষধ কোম্পানি ফাইজারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে।
এদিকে সোমবার কোম্পানীটি করোনা প্রতিরোধে তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে ঘোষণা করেছে।