বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি॥- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের লাটেরহাট দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের দরিদ্র আব্দুল জব্বারের মেয়ে ইয়াসমিন (২৫) এর সাথে ২০১৬ সালে সাতোর ইউনিয়নের ডাকেশ্বরী আরাজী চৌপুকুরিয়ার মজাহাব আলীর ছেলে মেহেদী ইসলামের অনুষ্ঠানিক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে হলেও পরবর্তীতে স্বামী ও শশুর বাড়ী পরিবার কতৃক পূনরায় যৌতুকের দাবীতে লাঞ্ছিত, অপমানিত, নির্যাতিতা অসহায় নারী ইয়াসমিন কয়েকমাস তার পিত্রালয়ে থাকার পর সংসার করার মত কোনরুপ আশ্বাস না পেয়ে নিরুপায় ও বাধ্য হয়ে জেলা দিনাজপুর বীরগঞ্জ পারিবারিক জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা যার নং- ৬/১৮ আনয়ন করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে আসামীকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত মোকদ্দমাটি আমলে নিয়ে চলমান আইন অনুযায়ী বাদিনীর মোহরানা ও খোরপোষ নির্ধারিত করলেও আদালতের মাধ্যমে অদ্যাবধি মোট মাত্র ৩০ হাজার টাকা হাতে পায় বলে ইয়াসমিনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বিয়ের সময় দেয়া যৌতুক বাবদ নগদ টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র ফেরত না দিয়ে সমুদয় আত্মসাৎকারী খারাপ প্রকৃতির মানুষ মেহেদী এখন পলাতক থাকায় আদালতকৃত নির্ধারিত পাওনা টাকা না পেয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ও বিবাদী পক্ষের হুমকি-ধামকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ইয়াসমিনের পরিবার।
এ ব্যাপারে আব্দুল জব্বার জানান, মেয়ে জামাই মেহেদী একজন মাদকসেবী, সন্ত্রাসী ও লোভী প্রকৃতির মানুষ। যৌতুকের টাকার জন্য সে প্রায় সময়েই আমার মেয়েকে নির্যাতন করত, তাই আদালতের সরনাপন্ন হয়েছি। আদালতের আদেশ অমান্য করে একাধিক গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী পলাতক মেহেদীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে থানা-পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইয়াসমিনের পরিবার।