আবু ইসহাক, সাঁথিয়াঃ
পাবনার সাঁথিয়ার উপজেলার বিভিন্ন বিলের প্রবেশ মুখে স্থাপন করা সূতি জালের বাঁধ অপসারণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। চলতি মৌসুমে বিলগুলোতে জলাবদ্ধতায় রবি শস্য আবাদ ব্যহত হবার আশংকায় হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়ে কৃষকরা। জলাবদ্ধতায় তারা বিল পারে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরিতে বাধ্য হয়ে ছাই ব্যবহার শুরু করে। এ বিষয়ে দৈনিক আমাদের সময়ে গত ৬ নভেম্বর শুক্রবার সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমদের নির্দেশে বাঁধ অপসারণ শুরু করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ফয়সাল রায়হান। তিনি মঙ্গলবার বিকালে ঘূঘুদহ বিলের প্রবেশ মুখ কাকেশ্বরী নদীর তালপট্্রী এলাকায় স্থাপিত আলী হোসেন ও দেবেন হালদারের সূতিজাল দ্বিতীয় বারের মত অপসারণ করেন। এর আগে ফয়সাল রায়হান একই সূতিজাল অপসারণ করলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে তা পূর্ণরায় স্থাপন করেন। এসময় দেবেন হালদারের টং ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ঘরে থাকা শুঁটকি মাছ জব্দ করা হয়। ঘরে রাখা জাল আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এদিকে এর আগে কাকেশ্বরী নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১৫টি ছোট বড় সূতি জালের বাঁধ কয়েক দিন ধরে তিনি অপসারণ করেছেন। আগামী দিন গুলোতে কাকেশ্বরী নদীসহ মুক্তার বিলের বাঁধ অপসারণে অভিযান চালাবেন বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ফয়সাল রায়হান।
এঘটনায় কৃষক ও সচেতন মহল উপজেলা প্রশাসনকে প্রশংসা দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, উপজেলা প্রশাসন যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে তা আমাদের জন্য খুবই দরকারি কাজ। যা থেকে আগামী দিনে আমরা জমিতে রবি শস্যসহ বিভিন্ন ফসল ফলাতে পারব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ঘুঘুদহ, কাটিয়াদহ, সাতআনি, সুক্তাহার, জামাইদহসহ বিভিন্ন বিলের প্রবেশ দ্বার ও পানি বের হবার রাস্তা কাকেশ্বরী নদীতে কতিপয় ব্যক্তি প্রতিবারের মত এবছরও অবৈধ ভাবে ২০টি সুতিজালের বাঁধ স্থাপন করেছে।
সূতিজালের বাঁধে সঠিক সময়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। তাদের প্রধান ফসল পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির সময় পার হয়ে যাচ্ছে। পানি নিস্কাশনের অভাবে কৃষকরা বাড়তি খরচ করে ঈশ্বরদী থেকে ছাই কিনে কাধাঁ মাটিতে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি করছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ফয়সাল রায়হান জানান, একের পর এক সূতি জালের বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। বাঁধ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। তবে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ বলেন, ইতো মধ্যে বাঁধ অপসারণ শুরু হয়েছে। অল্প সময়ে সমস্ত সূতিজালের বাঁধ অপসারণ করা হবে।