পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার ঈশ্বরদী জিআরপি থানার সকল সদস্য ও কর্মকর্তার ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। রেল থানার এক কনস্টেবল মাদক নিয়ে ধরা পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিআরপি পাকশী বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাকশী রেলবিভাগ সুত্রে জানা যায়, রেলের পাকশী বিভাগীয় পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ঈশ^রদী জিআরপি থানার সকল সদস্যকে ডোপটেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঈশ^রদী জিআরপি থানার কনস্টেবল নাইম হোসেনের ব্যক্তিগত বাক্স থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের পর। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ইতিমধ্যে নাইমকে গ্রেফতার করে মাদক আইনে মামলা দিয়ে পাবনা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। রেল পাকশী বিভাগীয় পুলিশ সুপারের কার্যালয় সুত্রে জানা যায় গত ৪ঠা নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী থেকে ঢালার চর অভিমুখী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ২৬৪ বোতল ফেনসিডিল সহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে রেল পুলিশ। এরপর ২৬৪ বোতল ফেনসিডিল সহ তাদের ঈশ^রদী জিআরপি থানায় আনা হয়। পুলিশ কনস্টেবল নাইম ২৬৪ বোতল ফেনসিডিলের মধ্যে ২৫ বোতল সু-কৌশলে নিজের জন্য লুকিয়ে নিজের ব্যক্তিগত বাক্সে রাখেন। এদিকে মাদক লুকিয়ে রাখার বিষয়টি দেখে ফেলেন নাইমের এত সহকর্মী। তিনি বিষয়টি পাকশী রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিনকে জানান। তখন পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিনের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম ৫ নভেম্বর ঘটনা স্থলে গিয়ে কনস্টেবল নাইমের বাক্স থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন ও নাইমকে আটক করে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ৬ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ঈশ^রদী জিআরপি থানায় মাদক আইনে মামলা করে পাবনা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। রেলের পাকশী বিভাগীয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম জানান মাদকের ব্যাপারে জিআরপির ডিআইজি সহ সবাই জিরো টলারেন্স নিতিতে রয়েছেন। মাদক বা মাদক সেবীর সঙ্গে কোন আপস নেই। কনস্টেবল নাইম মারাত্বক অপরাধ করেছেন। তিনি আরো বলেন এ ঘটনায় গোটা জিআরপি বিব্রতক অবস্থায় পড়েছে। তাই পুরো জিআরপিকে মাদকমুক্ত রাখতে খুব শিঘ্রই ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে।