লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেন ওরফে হোসেনকে আদালতে নেয়া হয়েছে।
সোমবার ৯ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতে তাকে নেয়া হয়। এরপর লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসি বেগমের আদালতে (আমলি আদালত-৩) হাজির করে আবুল হোসেন সহ তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সম্প্রতি ঢাকার কুড়িল-বিশ্বরোড থেকে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে মোট ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ৯ জনকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গ্রেফতার আসামিরা সবাই বুড়িমারী এলাকার বাসিন্দা।
নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে সুলতান রুবায়াত সুমন নামে এক সঙ্গীসহ বুড়িমারী বেড়াতে আসেন তিনি। ওই দিন বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।