রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। শতাব্দী প্রাচীন এ আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমবায়ের চেতনাকে প্রবল ও অর্থবহ করে তুলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি দরিদ্র-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সংবিধানে মালিকানার নীতি হিসেবে সমবায়কে জাতীয় অর্থনীতির দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাই সমবায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামীকাল ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার দেওয়া বাণীতে তিনি একথা বলেন।
৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি শ্রেণি-গোষ্ঠীর মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সমবায় একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান। সমবায় পদ্ধতি পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা ও ভাগ্যোন্নয়নের নীতিতে বিশ্বাস করে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সম্পদ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বনির্ভরতা অর্জন ও দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের সমবায় আন্দোলন ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে সফলতার পথে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু জমি ও সম্পদের পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। তাই কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে পূঁজি গঠনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে আয়-বৈষম্য হ্রাস করে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে সমবায় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল, সক্রিয় এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সকলে তৎপর ও আন্তরিক হবেন -এ প্রত্যাশা করি।
তিনি ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবসের কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।