স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার আটঘরিয়ায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু আমেনা খাতুনকে (২৫) নির্যাতনের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আজ্ঞাগত নামাকে আসামী করে আটঘরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-৩, ২-১১-২০২০)। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামী নিহতের স্বামী মো. আজিম উদ্দিনকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীর জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শ^াশুড়ি রাশিদা খাতুনকে (৪৫) ও ভগ্নিপতি মাসুদ রানাকে (৩৫) গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন নিহতের শ^শুর মো. হায়দার আলী পালাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোর ৪টার দিক আটঘরিয়া পৌরসভার ধলেশ^র মহল্লায় মো. আমিন উদ্দিনের মেয়ে আমেনা খাতুন (২৫)পার্শবর্তী চক-ধলেশ^র গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে আজিম উদ্দিনের সাথে ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ধাপে ধাপে যৌতুক দাবী করে মানুষিক ও ম্বারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই একপর্যায়ে গতকাল সোমবার ভোরে শ^ারীরিক নির্যাতনের পর বাড়ির পাশে পুকুড়ে ডুবিয়ে হত্যা করে।
এঘটনায় আমেনা খাতুনের পিতা মো. আমিন উদ্দিন বাদী হয়ে আটঘরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলা (মামলা নং-২, ২-১১-২০২০) দায়ের করলে আটঘরিয়া থানাপুলিশ ঐদিন অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেপ্তার করে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান আসামী আজিম উদ্দিনকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীর জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং শ^াশুড়ি রাশিদা খাতুনকে (৪৫) ও নোনদের স্বামী মাসুদ রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এবিষয়ে আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পারিপার্শিক ঘটনার উপর ভিত্তিকরে হত্যাকান্ডের ঘটনার আলামত পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তকরে আসামীরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আসে সেই ব্যবস্থা করা হবে।