নলডাঙ্গায় বিসিআইসি কতৃক নির্ধারিত স্থানেই বাফার গোডাউন নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গায় বিসিআইসি কতৃক নির্ধারিত স্থানেই বাফার গোডাউন নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে নলডাঙ্গা উপজেলাবাসী। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার থানা মোড় এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওযামী লীগ সভাপতি আব্দুস শুকুর, সাধারণ সম্পাদক মসফিকুর রহমান মুকু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম,খাজুরা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান,জেলা পরিষদ সদস্য রইস উদ্দিন রুবেল, নলডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ মহসীন, গোডাউনের জন্য জমিদাতাদের পক্ষে সাজ্জাদ হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, সারা দেশে সার সংরক্ষণ ও আপৎকালীন সার বিপণনের জন্য ২০ হাজার মেঃ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৪টি বাফার গোডাউন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে কৃষি নির্ভর অঞ্চল হিসেবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় একটি বাফার সারের গোডাউন নির্মাণের উদ্দ্যেগ গ্রহন করে উদ্বোধন থেকে শুরু করে স্থান নির্বাচন ও জমি অধিগ্রহন কার্যক্রমও শুরু হয়েছিল।কিন্ত বাফার এ সারের গোডাউন নির্মাণ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চক্রন্তে লিপ্ত হয় একটি মহল।
২০১৭ সালে জেলা প্রশাসক এবং বিসিআইসি’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নলডাঙ্গা উপজেলায় রেলপথ, নৌপথ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার শর্তে ২০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গোডাউন স্থাপনের প্রস্তাব উপস্থাপতি হয়। এ ব্যাপারে নাটোর-২ (নাটোর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে গোডাউনটি নলডাঙ্গা উপজেলাতে স্থাপনের জন্য শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে সুপারিশসহ একটি ডিও লেটার দেন। পরবর্তীতে ওই গোডাউন নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জমি অধিগ্রহণের জন্য জমির মালিকদের ৪ (চার) ধারা নোটিশ প্রদান করা হয়। ওই নির্ধারিত স্থানে বাফার গোডাউন নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তর ও স্থাপন করা হয় এবং সকল কার্যক্রম চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে বাফার গোডাউনটি অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বক্তারা যাতে বাফার গোডাউনটি নলডাঙ্গায় বিসিআইসি কতৃক নির্ধারিত স্থানেই নির্মান করা হয় এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর কাছে দাবী জানান। পরে তারা শিল্পমন্ত্রী বরাবরে তাদের দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেন।